শিরোনাম |
সীমান্তে গুলি ও নির্যাতনে এক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ জন হতাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() সীমান্তে গুলি ও নির্যাতনে এক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ জন হতাহত জানা গেছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা প্রায়ই নিজেদের জমিতে চাষাবাদ ও গবাদিপশু চরাতে গিয়ে শূন্যরেখার কাছাকাছি পৌঁছে যান। এই সুযোগে অনেক সময় বিএসএফ সদস্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় কিংবা শারীরিক নির্যাতন করে। বছরজুড়ে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য ঘটনা: ২৮ ফেব্রুয়ারি: কসবার পুটিয়া সীমান্তে গরু খোঁজার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন কৃষক আল আমিন। ৮ এপ্রিল: বিজয়নগরের সেজামুড়া সীমান্তে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারান মুরাদুর রহমান। ২৫ এপ্রিল: আখাউড়ার ইটনা সীমান্তে গুলিতে গুরুতর আহত হন যুবক আসাদুল ইসলাম। ২২ এপ্রিল: কসবার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন হাসান নামে এক যুবক। ২৫ নভেম্বর: কসবার বায়েক সীমান্তে গুলিতে আহত হন রুকন উদ্দিন ও জাকির হোসেন। ৫ মে: কসবা সীমান্তে গুলিতে নিহত হন তরুণ সাকিব, একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ভারতীয় নাগরিক সুজন বর্মণ (৩৫)। নিহত মুরাদুর রহমানের স্ত্রী রত্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, æবিএসএফ আমার স্বামীকে ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এবং ধানের জমিতে ফেলে রেখে যায়। সে কোনো অপরাধে জড়িত ছিল না।” নিহত আল আমিনের পিতা সুলতান মিয়া জানান, æবাড়ির গরু ছুটে গেলে সেটি আনতে গিয়ে সীমান্ত এলাকায় গেলে ছেলেকে গুলি করা হয়।” বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, æআন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ বাধা দেয়। আমরা স্থানীয়দের সতর্ক করে বলি, যেন তারা ১৫০ গজের মধ্যে না যান। তবু অনেকেই অসচেতনভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।” বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান বলেন, æপ্রতিটি গুলির ঘটনার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি বিএসএফের সঙ্গে আলোচনায় তোলা হয়। কীভাবে ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ জানানো হয়।” উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি উপজেলার সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ৭২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তজুড়ে চোরাচালান, কৃষিকাজ ও গবাদিপশু চরানোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বাড়ছে। |