সোমবার ১২ মে ২০২৫ ২১:০৫:৪৮ পিএম
শিরোনাম লড়াই এখনো বাকি : মাহফুজ আলম       বিদ্যুৎ খাতের ১৫ বছরের সব চুক্তির তথ্য চেয়ে বিপিডিবিতে দুদকের চিঠি       শপথ ভঙ্গ করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ : শিবির সেক্রেটারি       সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ       যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন হাসিনাপুত্র জয়, নিয়েছেন শপথ       রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা       সাইবার নিরাপত্তায় নিয়ে কাজ করছে পটুয়াখালীর শাওন      
বায়োগ্যাস
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Tuesday, 6 May, 2025
বায়োগ্যাস

বায়োগ্যাস

দেশে প্রথম বায়োগ্যাস প্লান্ট চালু হয় ১৯৭২ সালে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই বাস্তবতায় গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় খাত বায়োগ্যাস। বায়োগ্যাসের সফল বাস্তবায়নে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

বায়োগ্যাস মূলত জৈব বর্জ্য, বিশেষ করে গবাদি পশুর গোবর, রান্নাঘরের উচ্ছিষ্ট ও কৃষিজ অবশিষ্টাংশ থেকে উৎপন্ন হয়। উৎপাদনের সময় অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে মাইক্রোবায়াল সক্রিয়তায় নির্গত হয় মিথেন গ্যাস, যা এক ধরনের শক্তি। এই শক্তিকেই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গোবর, পশুপাখি ও মানুষের বর্জ্য, আবর্জনা, কচুরিপানাসহ যেকোনো ধরনের পচনশীল জৈব পদার্থও বায়োগ্যাসের কাঁচামাল।

এই গ্যাসে ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ মিথেন ও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। এ ছাড়া থাকে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন সালফাইড। বায়োগ্যাস ব্যবহারের ফলে কোনো ধরনের গন্ধ ও ধোঁয়া সৃষ্টি হয় না। বায়োগ্যাসে ব্যবহৃত অবশিষ্ট কাঁচামাল জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যায়।

এই সার মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারের ওপর নির্ভরতা কমায়। জৈব সার মাছের খাদ্য হিসেবে পুকুরেও ব্যবহার করা যায়। একটি ছোট আকারের বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। ২০১১ সালে সারা দেশে ৪২ হাজারের মতো বায়োগ্যাস প্লান্ট ছিল। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৬০ হাজার।

২০২০ সালে এই সংখ্যা ৭৬ হাজারে পৌঁছে। বর্তমানে সংখ্যাটি এক লাখের ওপরে।

পরিবেশগত দিক থেকে বায়োগ্যাস একটি টেকসই জ্বালানি। এটি কাঠ বা কয়লার মতো প্রচলিত জ্বালানির বিকল্প হওয়ায় বনাঞ্চল সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহায়ক হয়। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটায় এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে। বাংলাদেশে বায়োগ্যাস প্লান্টের সংখ্যা বাড়লেও হতাশার কথা হচ্ছে, এর বিস্তার আশানুরূপ নয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে প্লান্ট স্থাপনের উচ্চ প্রাথমিক খরচ, প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব ও সচেতনতার সংকট। অনেক সময় গ্রামাঞ্চলের মানুষ বায়োগ্যাস প্লান্টের রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পায় না। ফলে প্লান্ট নষ্ট হয়ে পড়ে। তবে আশার কথা, বায়োগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন করে পরিকল্পনা করছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে বায়োগ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com