শিরোনাম |
হজের সময় ডায়াবেটিসের রোগীর পায়ের যত্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() হজের সময় ডায়াবেটিসের রোগীর পায়ের যত্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ১৫ শতাংশ হজযাত্রী ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন, যা পায়ের ক্ষত বা ঘায়ের মতো জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হজযাত্রীদের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের বড় কারণগুলোর একটি হলো পায়ের আলসার। অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়। হাঁটতে গিয়ে ৩১ শতাংশ হজযাত্রীর পায়ে ফোসকা পড়ে আর পা ফুলে যায় ২৫ শতাংশের। অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিসের রোগীর পায়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বল ক্ষত নিরাময় এবং নিউরোপ্যাথি ও পেরিফেরাল ভাসকুলার রোগের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা পরবর্তী সময়ে গুরুতর জটিলতায় পড়েন। ঝুঁকি কমাতে যা করবেন * দীর্ঘ সময় হাঁটা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে পায়ে সৃষ্ট ফাটল রোধে ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন দুবার ভালো মানের গন্ধহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। কারণ, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির রোগীর পায়ের ত্বক শুষ্ক থাকে ও সহজেই ফাটে। সেই ফাটল দিয়ে সংক্রমণ প্রবেশ করতে পারে। * রাতে সব কাজের শেষে নিজের পা ভালো করে দেখে নেওয়া দরকার। সারা দিন হাঁটার পর পায়ে ব্যথা বা কামড়ালে গরম পানিতে পা ডোবানো যাবে না। * এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে হলে মোটরচালিত যান বা হুইলচেয়ার ব্যবহার করা নিরাপদ। * জুতা পরা নিষেধ, এমন এলাকায় প্যাডেড মোজা ব্যবহার করা আবশ্যক। একেবারে খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। এতে চোট পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। * হাঁটার প্রস্তুতি হিসেবে হালকা ওজনের, পায়ের গোড়ালি ও বলের প্যাডিংসহ নরম প্যাডেড জুতা সঙ্গে রাখতে হবে। পা পরীক্ষা করার জন্য একটি আয়না, অ্যান্টিসেপটিক মলম ও ছোট ক্ষত নিরাময়ে ড্রেসিং করার জন্য গজ কাপড় ও আয়োডিন সলিউশন ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে। * পা সব সময় শুকনা রাখা উচিত। * সন্দেহজনক ক্ষেত্রে অপরিবর্তনীয় টিস্যু ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে প্রফাইল্যাকটিক অ্যান্টিবায়োটিক বা ছত্রাকরোধী মলম বা ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মবিধি জেনে নিয়ে সঙ্গে রাখতে পারেন। ডা. শাহজাদা সেলিম, সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা |