শিরোনাম |
টেসলার বৈদ্যুতিক ট্রাক, দাম ও মান নিয়ে যত আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() টেসলার বৈদ্যুতিক ট্রাক, দাম ও মান নিয়ে যত আলোচনা তবে কম দাম মানেই অনেক ছাড়, আর সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। নতুন মডেলটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, ৩৬২ মাইল পর্যন্ত রেঞ্জ, যা এখন পর্যন্ত যে কোনো সাইবারট্রাকের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু এই রেঞ্জ পেতে প্রয়োজন ৭৫০ ডলারের সফট কভার, যা না কিনলে রেঞ্জ কমে দাঁড়ায় ৩৫০ মাইল। বড় চাকা নিলে আরও কমে ৩৩১ মাইল। চার্জিং দিক থেকে যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক, মাত্র ১৫ মিনিটেই যোগ হয় ১৪৭ মাইল রেঞ্জ। তবে পারফরম্যান্সে কিছুটা পিছিয়ে, ০-৬০ সঢ়য যেতে সময় লাগে ৬.২ সেকেন্ড; যেখানে সাইবারবিস্টের লাগে মাত্র ২.৫ সেকেন্ড। মূল্য কমাতে গিয়ে টেসলা বাদ দিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। নেই অল-হুইল ড্রাইভ বা ফ্রন্ট মোটর, যার ফলে টোয়িং ক্ষমতা নেমেছে ১১,০০০ থেকে ৭,৫০০ পাউন্ডে। বাতিল হয়েছে এডাপটিভ এয়ার সাসপেনশন, ১২০ ও ২৪০ ভোল্ট আউটলেট, প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম ও পেছনের স্ক্রিন। ইন্টেরিয়রেও কাটছাঁট, লেদারের বদলে কাপড়ের সিট, কম স্পিকার, নেই রিয়ার সিট হিটিং বা ভেন্টিলেশন। সব মিলিয়ে, রেঞ্জ আর দামে বাজিমাত করলেও ‘কমফোর্ট ও ক্যাপাবিলিটি’ তে বড় ধাক্কা খেয়েছে লং রেঞ্জ সাইবারট্রাক। তাই প্রশ্ন থেকে যায়, এ ছাড়গুলো মেনে নিয়ে কি গ্রাহকরা টেসলার এই ট্রাকটিকে আপন করে নেবেন? অনেকের ভাষায়, দাম যতই কম হোক, ডিজাইন ও দামের ভারে সাইবারট্রাক এখনো ‘একটা দামি, ধাতব খেলনার মতোই।’ |