শিরোনাম |
জেলা আ. লীগের কার্যালয় এখন বাখরখানির দোকান
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() জেলা আ. লীগের কার্যালয় এখন বাখরখানির দোকান দোকানের মালিক মো. সুমন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসটি ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর ছিল। সেই সাথে দিন-রাত নেশাখোরদের আড্ডা ছিল। তাই অফিসের সামনের জায়গাটি পরিষ্কার-পরিছন্ন করে এই দোকান দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের সাথে সাথে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। আবার কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমান। এই অবস্থায় একসময় নেতাকর্মীদের দ্বারা সব সময় জমজমাট থাকা শহরের ২ নং রেলগেট এলাকার আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি জনমানবহীন ভূতুড়ে ভবনে পরিণত হয়। সরেজমিনে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় পাগল-মাস্তান ও ভবঘুরে নারী পুরুষের বাসস্থান হিসেবে করে আসছিলেন। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছিলো জায়গাটি। পরবর্তীতে ভাসমান মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত এই আওয়ামীলীগ কার্যালয়টিতে। অফিসের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ বলেন, গত বছরের ৫ তারিখের পর পুরা অফিস তছনছ হয়ে গেছে। এর আগেও ভাংচুর হয়েছে। ভেতরের যা ছিল সবই চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন শহরের ভাসমান মানুষ দিন-রাত অফিসের সামনে ঘুমিয়ে থাকে। আগে অফিসের ভিততে ঘুমাইতো। একসময় অবৈধ কাজকর্মও হতো। পরবর্তীতে কয়েকজন লোক টিন দিয়ে আটকিয়ে দেয়ায় এখন বাহিরে ঘুমায়। এবার একটি বাখরখানির দোকান দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থা কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একটি শ্রেণি সৃষ্টি করেছিল। সেই শ্রেণিটিই ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। বর্তমানে দলটি জনগণের মাধ্যমে বিতাড়িত হয়ে একটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের কার্যালয়টি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়াটাই স্বাভাবিক। |