বুধবার ২১ মে ২০২৫ ২৩:০৫:১৬ পিএম
শিরোনাম নারী সংস্থার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল       এনসিপি-বিএনপি দ্বন্দ্ব-বাগযুদ্ধ, নীরব দর্শক জামায়াত       লিটারে তেলের দাম ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি       এবার রাজপথে নামার ঘোষণা দিলেন ইশরাক       মায়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ : প্রেস উইং       ‘আওয়ামী লীগের দোসর ধরিয়ে দেওয়ার নামে মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না’       তাপসের টাকা খেয়ে ইসিতে বিক্ষোভ করছে একটি দল : ইশরাক      
প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ হাসনাত আব্দুল্লাহর
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Sunday, 20 April, 2025
প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ হাসনাত আব্দুল্লাহর

প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ হাসনাত আব্দুল্লাহর

অবৈধভাবে কারো কাছ থেকে এক টাকা গ্রহণ করার প্রমাণ কেউ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ চ্যালেঞ্জ দেন।

তিনি ওই পোস্টে দৈনিক প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, প্রথম আলো শনিবার শিরোনাম করেছে ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি— আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি।

প্রসঙ্গত, ‘এনসিপির সাধারণ সভা : নানা প্রশ্ন ও অভিযোগের জবাব দিলেন নেতারা’,— এই শিরোনামে গণমাধ্যম অনলাইনে একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটির শেষে একটি সংশোধনী যোগ করেছে গণমাধ্যমটি। এতে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদনের প্রথম প্রকাশিত শিরোনাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভেতরের অংশবিশেষও পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের পরে আরও কিছু তথ্য জানার পর এই পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হলো।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে এই প্রতিবেদনটির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। প্রতিবেদনটিতে আগে বলা হয়েছিল, এনসিপির বৈঠকে হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির কয়েকজন নেতা।

এ ব্যাপারে হাসনাত তার পোস্টে জানান, ওই বৈঠকে এমন কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো কথাও হয়নি।

হাসনাত আবদুল্লাহর স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:

“প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে "হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন"। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি।

দিল্লী থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।

থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা র এদের তাবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম তাহলে আমার এতো যুদ্ধ করার দরকার ছিল না আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসি জীবন বেছে নিতে পারতাম।

আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন আমি ভারত আর র এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না, আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোন উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দিব না।

আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি সেটা সবাই জানে। আমার ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করি ট্যাক্স রিটার্ন সবকিছুই একসেস করা যায়। আপনারাও একসেস করতে পারতেন কিন্তু আপনারা করেননি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি গতকালের মিটিংএ আমার এসব বিষয়ে কোন কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন।

আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করুক।যেকোন ভাবে। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো গ্রহনযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না।

প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। র এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।

এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। যতদিন দেহে প্রাণ আছে আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক।

আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, র আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com