সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৪:২৬ পিএম
শিরোনাম পোপ ফ্রান্সিস আর নেই, বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া       আন্দোলনের ভিডিও করায় ‘লাঠিপেটা’ করছে অটোরিকশা চালকরা       জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার       ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ: চীন থেকে আমেরিকায় ফেরত গেল বোয়িংয়ের বিমান       দেশে ৮ হাজার চিকিৎসক সংকট রয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা       ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত       আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের      
ইউরোপে ১১ বছরের সর্বোচ্চ বন্যা-তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভেঙেছে ২০২৪ সাল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Wednesday, 16 April, 2025
ইউরোপে ১১ বছরের সর্বোচ্চ বন্যা-তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভেঙেছে ২০২৪ সাল

ইউরোপে ১১ বছরের সর্বোচ্চ বন্যা-তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভেঙেছে ২০২৪ সাল

২০২৪ সাল ইউরোপের ইতিহাসে এক ভয়াবহ আবহাওয়া বিপর্যয়ের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকল। জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা ও ইউরোপীয় জলবায়ু গবেষণা কেন্দ্রের একটি যৌথ প্রতিবেদন থেকে উঠে এসেছে, এ বছর ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ বন্যা, ব্যাপক দাবদাহ ও বিপর্যয়কর আবহাওয়ার ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এই দুর্যোগ কেবল পরিবেশের উপরই নয়, বরং মানুষের জীবন, সম্পদ ও সামগ্রিক অর্থনীতির উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

এই প্রতিবেদনের নাম "ইউরোপিয়ান স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ২০২৪", যা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইউরোপের একটি বিশাল অংশজুড়ে ব্যাপক বন্যা হয় এবং এই বন্যা ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বড় আকারে দেখা দেয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে এই বছরে। বছরের পর বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জমা হতে হতে এখন তা বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ফলে ইউরোপে বন্যা ও দাবদাহের মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনা এখন প্রায় নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের বন্যায় ইউরোপজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৩৫ জন, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৩ হাজার মানুষ। অর্থনৈতিক দিক থেকে এই দুর্যোগে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ, যার ৮৫ শতাংশ ক্ষতি শুধু বন্যার কারণেই হয়েছে। শুধু বন্যা নয়, বছরের একটি বড় সময়জুড়ে ইউরোপের ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড তীব্র দাবদাহে পুড়েছে। দক্ষিণ ইউরোপে জুলাই মাসে টানা ১৩ দিন মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ তাপদাহ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হারে হিমবাহ গলে যাওয়ার ঘটনাও এই দাবদাহেরই ফল। সিথ্রিএসের পরিচালক কার্লো বুনটেম্পোর মতে, এই গলনই অনেক জায়গায় আকস্মিক বন্যার অন্যতম কারণ হয়েছে।

যৌথ প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপের আবহাওয়া অনেক বেশি ও দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী বছরগুলোতে ইউরোপকে আরও ভয়াবহ ও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হবে। এখনই যদি বৈশ্বিকভাবে নির্গমন কমানো ও টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে—এই সতর্কবার্তা শুধু ইউরোপ নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্যই এক কঠিন বাস্তবতা। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com