শিরোনাম |
বিসিবিতে হঠাৎ দুদক, তিন বিষয়ে তদন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
বিসিবিতে হঠাৎ দুদক, তিন বিষয়ে তদন্ত মূলত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবির কাছে তথ্যাদি চাইতে বিসিবি কার্যালয়ে যায় দুদকের প্রতিনিধিদল। বিসিবির আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপনের খরচের হিসাব,
তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত বিপিএলের টিকিট বিক্রির হিসাব ও তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটের এন্ট্রি ফির অনিয়ম নিয়েই আপাতত তাঁদের তদন্ত। দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন,
এই তিনটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা বিসিবির কাছে তথ্যাদি জানতে চেয়েছেন। বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে নিজেদের চাহিদা
জানানোর পর সংবাদমাধ্যমকে দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘মুজিব বর্ষের
অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছিল। তবে অভিযোগ আছে, এর মধ্যে মাত্র ৭
কোটি টাকার খরচ দেখানো হয়। বাকি ১৯ কোটি টাকার মতো খরচের হিসাব দেওয়া হয়নি।’ এ ব্যাপারে
বিসিবির ফাইন্যান্স বিভাগের কাছে তথ্যাদি চেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া টিকিট বিক্রি থেকে
প্রায় ২ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলেও জেনেছে দুদক, যেটার হিসাব দেখানো
হয়নি। সেটিসহ ২০ কোটি টাকার বেশি গরমিল থাকতে পারে। বিপিএলের টিকিট বিক্রির আয়েও গরমিলের অভিযোগ পেয়েছে দুদক
এবং প্রাথমিকভাবে এখানে তারাও অসংগতি দেখতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে
দুদক কর্মকর্তারা জানান, বিপিএলের ১১তম আসরেই যেখানে ১৩ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি
হয়েছে, সেখানে তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত আট মৌসুমে টিকিট বিক্রি
থেকে মোট আয় দেখানো হয় মাত্র ১৫ কোটি টাকা। দুদক কর্মকর্তারা বলেন, বিসিবির কাছ থেকে
তাঁরা তথ্য পেয়েছেন, আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে
বিসিবি চুক্তি করত এবং ওই চুক্তি অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করত। টিকিট বিক্রি থেকে
নির্দিষ্ট একটা অঙ্ক বিসিবিকে দিত, যেটা তাদের আয় হিসাবে ধরা হতো। |