শিরোনাম |
মায়ের প্রসঙ্গ এলে ছলছল করছিল জেমসের চোখ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
মায়ের প্রসঙ্গ এলে ছলছল করছিল জেমসের চোখ
জেমসের গায়ক–জীবন চাননি বাবা মোজাম্মেল হক ও মা জাহানারা
খাতুন। আর তাই অভিমানী জেমসকে ঘর ছেড়ে পথে নামতে হয়। সেই পথ চলতে চলতে তাঁর ঠিকানা
হয়ে যায় চট্টগ্রামের কদমতলীর পাঠানটুলি রোডে মতিয়ার পুলের সেই আজিজ বোর্ডিংয়ের ৩৬
নম্বর কক্ষটি। তারকাখ্যাতি পেলেও তা দেখে যেতে পারেননি তাঁর মা–বাবা। জেমসের জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘মা’
ও ‘বাবা’। গানগুলো গাওয়ার সময় আবেগতাড়িত হতে দেখা যায় তাঁকে। কনসার্টে শ্রোতার সমুদ্রে আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি যখন গাইতে থাকেন,
‘বাবা কত দিন কত দিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলে না তোমার মতো,
কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়...’ কিংবা মাকে খুঁজে ‘রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস?
কোথায় আছে কেমন আছে মা?’
তখন মা–বাবাহারা সব সন্তানের হাহাকার যেন মিলে জেমসের সঙ্গে এক বিন্দুতে। আড্ডায় মায়ের প্রসঙ্গ এলে ছলছল করছিল জেমসের চোখ। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়,
মায়ের হাতের কোনো রান্নার স্বাদ কি তাঁর মনে পড়ে,
কোনো ঘ্রাণ কি এখনো পান। জবাবে জেমস বললেন,
‘তা তো মনে থাকবেই,
ভুলে যাওয়ার কিছুই নেই। সব,
সবকিছুই—মায়ের হাতের সব খাবার অনেক মিস করি। মায়ের হাতের রান্না তো সবারই ভালো লাগে,
এটা তো আর ভুলে যাওয়া যায় না।’ তিনি বললেন,
‘এখনো খুব ইচ্ছা আছে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার। সব সময় মনে হয়,
শান্ত কোথাও চলে যাই। নাগরিক এ জীবনের ক্লান্তি বলতে আমার মধ্যে দুই ধরনের বিষয় কাজ করে। এখানে থাকতে বিরক্ত লাগে,
আবার দূরে গেলে মিস করি। মানে একটা দোটানা। একবার শহর ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছা হয়,
শহর ছেড়ে চলে গেলে মনে হয়,
এ শহর আমাকে ডাকছে।’ |