শিরোনাম |
চারদিক থেকে রাফা ঘেরাও করে ফেলেছে ইসরাইল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
চারদিক থেকে রাফা ঘেরাও করে ফেলেছে ইসরাইল গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। ওই সময় মিসর সীমান্তবর্তী রাফা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে তারা। সঙ্গে সেখানকার মানুষকে অন্য অঞ্চলে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর অসংখ্য হামলা ও বর্বরতা চালিয়ে রাফাকে সম্পূর্ণভাবে দখল করেছে ইসরাইল। আগে থেকেই সীমান্তবর্তী গাজার ফিলাডেলফি করিডর দখল করে রেখেছিল ইসরাইলি সেনারা। এরপর খান ইউনিসের কাছে ইসরাইল তৈরি করে মোরাগ করিডর। এই করিডরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে রাফা খান ইউনিস থেকে আলাদা হয়ে যায়। অপরদিকে রাফার পুরো অঞ্চলটি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। দখলদারদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাতজ শনিবার বলেছেন,
রাফা এখন থেকে ইসরাইলের ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’
হিসেবে বিবেচিত হবে। সেখানে আর কোনো ফিলিস্তিনিকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। দখলদার এ মন্ত্রী বলেছেন,
গাজার মানুষ যদি গাজায় থাকতে চান তাহলে এটিই তাদের জন্য শেষ সুযোগ। এজন্য তাদের হামাসকে নির্মূল করতে হবে এবং সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি গাজাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,
এটি হামাসকে নির্মূল করা,
জিম্মিদের মুক্ত করা এবং যুদ্ধ শেষ করার চূড়ান্ত মুহূর্ত। যদি এই সুযোগ কাজে লাগানো না হয় তাহলে প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলে তীব্র হামলা চালানো শুরু করবে। এবং আপনাকে যুদ্ধস্থল থেকে সরে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, হামাস গাজার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়। হামাসের নেতারা সুরঙ্গের ভেতর নিরাপদ জায়গায় তাদের পরিবারকে নিয়ে আছে। আর বিদেশে থাকা নেতারা আছে দামি হোটেলে। সঙ্গে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। গাজাবাসীর হামাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করার এখনই সময়। এটি যুদ্ধ বন্ধ করার একমাত্র উপায়। এ ছাড়া ‘ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী’
যেসব গাজাবাসী স্বেচ্ছায় অন্য দেশে চলে যেতে চায় তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এ দখলদার। |