সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৪:১৭ এএম
শিরোনাম নোয়াখালীর বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী কামাল আর নেই       জামায়াতকে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী-প্রতারক’ আখ্যা বিএনপি নেতা বাচ্ছুর।       গণহত্যার বিচার ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন চায় না : ড. মাসুদ        প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন       রাষ্ট্রের দুই অঙ্গের সমমর্যাদায় বিচার বিভাগকে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : প্রধান বিচারপতি       প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন       আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর      
‘নিযাতনে’মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজের, দাবি পরিবারের
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Sunday, 16 March, 2025
‘নিযাতনে’মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজের, দাবি পরিবারের

‘নিযাতনে’মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজের, দাবি পরিবারের

শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের ডানহাত হিসেবে পরিচিত হেজাজ ওরফে এজাজের।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান জানান, কিছুদিন আগে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এজাজ। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

গত দু’দিন যাবৎ তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংবাদের প্রেক্ষিতে তাকে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ তাকে শনিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে শনিবার সন্ধ্যার আগে তিনি মারা যান।

স্বজনদের কাছ থেকে লাশটি এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হবে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক। তিনি জানান, শনিবার ভোরে ডিবি পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যার দিকে ডায়ালাইসিস করার সময় তিনি মারা যান। এরপরই স্বজন ও বন্ধুরা তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে জোর করে নিয়ে চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে আবার হাসপাতালে আনা হয়।

মৃতের বাবা শাহ আলম খান বলেন, তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায়। চার সন্তানের জনক হেজাজ। সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে জিগাতলা এলাকায় থাকতেন। ডিসের ব্যবসা করতেন তিনি। গত ১০ মার্চ মোহাম্মদপুর বাড়ৈখালী এলাকায় ইফতার পার্টি থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। মোহাম্মদপুর থানার মাধ্যমে কারগারে পাঠায় তাকে। দু’দিন পর জামিনে বের হয়। তবে অসুস্থ থাকায় ধানমন্ডি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

তিনি বলেন, আমার ছেলের কিডনিতে পাথর ছিল। তবে সে এত অসুস্থ ছিল না। তখন তার কিডনির পয়েন্ট (সেরাম ক্রিয়েটিনিন) ছিল ১.৪২। গ্রেফতার হওয়ার পর মারধরের কারণে তার কিডনির পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হয়।

তিনি আরও বলেন, শনিবার সকালে ডিবি পুলিশ আমার ছেলেকে ধানমন্ডির হাসপাতাল থেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকাল পাঁচটার দিকে তাকে নেওয়া হয় কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারে। সেখানে সন্ধ্যার দিকে মারা যায় আমার ছেলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে আমার ছেলে মারা গেছে। যদি ধানমন্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকত তাহলে আমার ছেলে মারা যেত না।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাগরিবের আজানের পরপরই মারা যায় এজাজ। এরপর স্বজনরা জোরপূর্বক মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে চলে যায়। ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে নেওয়া হয় মরদেহ। সেখান থেকে পুলিশ আবার অ্যাম্বুলেন্সে করেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com