শিরোনাম |
পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক যাত্রী, নিহত অন্তত ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস। পাকিস্তানের সেনাকর্মী থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। যাত্রার মাঝপথে আচমকাই চলন্ত ট্রেনে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। জানা গিয়েছে, মাশকাফ, ধাদার এবং বোলানে পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পরে একটি বিবৃতি জারি করেছে এই বিদ্রোহী সংগঠন অর্থাৎ বালোচ লিবারেশন আর্মি। তাদের কথায়, রেলের ট্র্যাকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ট্রেন থামিয়ে দেয়া হয়। তারপরেই ট্রেনের দখল নিয়েছে বালোচ আর্মির সদস্য়রা। হামলার মধ্যেই ৬জন নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি যাত্রীদের মধ্যে ১০০ জনকে পণবন্দি করে রেখেছে বালোচ বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, মহিলা, শিশু এবং বালোচ যাত্রীদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। কোনও আমজনতাকেই আটকে রাখা হয়নি। কেবল সেনা, পুলিশ, সন্ত্রাসবিরোধী ফোর্স এবং আইএসআইয়ের কর্মকর্তাদেরই আটক করা হয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্ট হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দিদের উদ্ধার করতে যদি কোনওভাবে অপারেশন চালায় সেনা বা অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী, তাহলে ফল ভুগতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ১০০ জন পণবন্দির প্রত্যেককেই মেরে ফেলা হবে বলেই বিএলএর হুঁশিয়ারি। রক্তপাতের দায় নিরাপত্তাবাহিনীর ঘাড়েই বর্তাবে বলেই জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সরব এই বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তান এবং চীনে বড়সড় হামলা হবে ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছিল তাদের তরফে। তাদের এমন অপারেশনের জবাব দিতে পারবে পাকিস্তানের প্রশাসন? নাকি বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ যাবে ১০০ পণবন্দির? ইতিমধ্যেই অবশ্য উদ্ধারকাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। |