শিরোনাম |
হার এড়ালেও শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে গেল আর্সেনাল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() হার এড়ালেও এই ড্রয়ে শিরোপার মিশনে বড় ধাক্কা খেয়েছে গানার্সরা। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে তারা ১৫ পয়েন্ট পেছনে থেকে দুই নম্বরে। আর ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানইউ ১৪তম। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল নিষ্প্রাণ। পিএসভির বিপক্ষে ৭-১ গোলের দাপুটে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী আর্সেনাল বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও, গোলের জন্য খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে বিরতির ঠিক আগে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডকে উজ্জীবিত করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ইউনাইটেড অধিনায়কের নিখুঁত ফ্রি-কিক কোনো বাধাই পেল না, ডেভিড রায়ার লাফিয়ে চেষ্টা করলেও বল চলে যায় জালের ঠিক কোণায়। ডিসেম্বরের পর প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে বিরতিতে লিড নিয়ে গেল ইউনাইটেড। দুই দলই আক্রমণের ধার বাড়ালে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ জমে ওঠে। একের পর এক আক্রমণে রোমাঞ্চ ছড়ায় দুই দল। ৭৪তম মিনিটে জুরিয়েন টিম্বারের পাস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে সমতা ফেরান ডেক্লান রাইস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার বজ্রগতির শট আন্দ্রে ওনানাকে কোনো সুযোগই দেয়নি। এরপর ইউনাইটেড ভক্তদের দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে আঙুল রেখে ‘শান্ত’ থাকার বার্তা দেন রাইস—ম্যাচে নতুন উত্তেজনা যোগ হয়। দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ইউনাইটেডের মরোক্কান ডিফেন্ডার নুসাইর মাজরাউই নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করলে মাথা নিচু করে হতাশায় বসে পড়েন। অন্যদিকে, মার্টিন ওডেগার্ডের একটি ভয়ঙ্কর শট দুর্দান্ত দক্ষতায় বারপারের ওপর দিয়ে ঠেলে দেন ওনানা। কিন্তু আসল নাটকীয়তা জমে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে। ফার্নান্দেজের আরেকটি শট কোনোভাবে আটকালেও বল প্রায় গোললাইন পেরিয়ে যাচ্ছিল, তখনই রায়া অতিমানবীয় দক্ষতায় বল ফিরিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন আর বদলায়নি। পরিসংখ্যানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্পষ্ট—দুই দলই সমান ৬টি শট রেখেছে লক্ষ্যে। |