শিরোনাম |
নোবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
রবিউল আওয়াল
|
![]() নোবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যত্রতত্র ঝোপঝাড় ও আগাছা বেড়ে ওঠা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়ঃনিষ্কাশন নর্দমা ও ময়লা ফেলার স্থান নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং মশকনিধনে ওষুধ না ছিটানোর কারণে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, আবাসিক হলগুলোর ড্রেনগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ময়লায় পানি কালো হয়ে গেছে। প্লাস্টিক, পলিথিন ও কাগজে ভরা ড্রেনগুলো জলাবদ্ধতা তৈরি করে মশার উৎপত্তিস্থলে পরিণত হয়েছে, যা ডেঙ্গুর ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাফা সাবরি জানান, ড্রেনগুলো অপরিষ্কার থাকায় সব সময় পানি জমে থাকে, আর হলের শৌচাগারও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এর ফলে হলের আশেপাশে জমে থাকা ময়লা ও কাগজে পানি আটকে থেকে মশার প্রজননস্থল তৈরি হয়েছে। মশার উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে, ঠিকমতো পড়ালেখাও করা যাচ্ছে না। সারাদিনের ক্লাস ও পরীক্ষার পর বিকেল কিংবা রাতে একটু শান্তিতে ঘুমানোরও উপায় নেই। এভাবে চলতে থাকলে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা নিধনের জন্য কোনো ফগার মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। মালেক উকিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাখাওয়াত সিয়াম বলেন, গরম শুরুর আগেই হলগুলোতে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। দিন বা রাত—সব সময়ই মশার উৎপাত কক্ষে টের পাওয়া যায়। হলের আশপাশের ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে মশার উপদ্রব খুব বেশি। জানালার পাশেই ড্রেন থাকায় কখনো জানালা খুলতে পারি না। রুমে কয়েল জ্বালানো আর মশারি টানানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। সন্ধ্যার পর মশার কারণে রুমে পড়তে পারি না। এ বছর মশার উপদ্রব অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি মনে হচ্ছে। এতে হলে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মালেক হল প্রভোস্ট তসলিম মাহমুদ বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো ফগার মেশিন ছিল না। তবে এরই মধ্যে সব হল প্রভোস্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং বিষয়টি কোষাধ্যক্ষকেও জানিয়েছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন। আশা করছি দ্রুত ফগার মেশিন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে এবং এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। |