শিরোনাম |
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে একাডেমিক আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() আজ ২৬শে ফেব্রুয়ারি,(বুধবার)জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি)-এর আয়োজনে ‘নেক্সাস অব ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ওয়াটার’ শীর্ষক একাডেমিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই সেমিনারে জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির সম্পর্ক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাকিস্তানের ওয়াটার এইড অ্যান্ড আইএমসায়েন্সেস, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ওয়াশ প্রোগ্রামের প্রধান এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. শাকিল হায়াত। তিনি জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে পানির সংকট, খরা, বন্যা এবং পানি ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন এখন বৈশ্বিক সংকটের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। এর প্রভাব শুধু পরিবেশগত নয়, বরং মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। এ সমস্যা মোকাবিলায় নীতিনির্ধারক ও গবেষকদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।" অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান এবং পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউল গনি। ড. শাকিল হায়াত বলেন," পরিবর্তনের ফলে পানির সংকট, বন্যা, খরা এবং ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) খাতে এর নেতিবাচক প্রভাবের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির সংকট তীব্রতর হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে।" তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ প্রশমনে গবেষণা এবং নীতি গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থায়নের (গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড) ওপর জোর দিতে হবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা, নীতিগত পদক্ষেপ এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে। |