শিরোনাম |
ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর হুমকি উপেক্ষা করে পরমাণু কর্মসূচি চালাবে ইরান
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর হুমকি উপেক্ষা করে পরমাণু কর্মসূচি চালাবে ইরান ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি)-এ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। নেতানিয়াহু জানান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল একসঙ্গে কাজ করবে ইরানের পরমাণু হুমকি মোকাবিলার জন্য। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েল গত ১৬ মাসে ইরানের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইরানকে কখনোই পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে দেওয়া হবে না এবং ইসরায়েল এর বিরুদ্ধে প্রস্তুত। এই অবস্থায়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে, ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, “ইরানকে হুমকি দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” এবং “এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।” বাঘাই আরও দাবি করেন, ইরান গত তিন দশক ধরে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এবং এটি কখনো থামবে না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে প্রশ্ন করেন, “একদিকে ইরানকে হুমকি দিবেন, আরেকদিকে সংলাপের কথা বলবেন, এটা কেমন নীতি?” গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত নয়, তবে এর পরিমাণ বেসামরিক উদ্দেশ্যের জন্য সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহল এবং বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রস্তুতির ইঙ্গিত হতে পারে। ইরান ও ইসরায়েলের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে গাজা যুদ্ধের পর। ২০২৫ সালে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে পারে, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে বৈধ ও আন্তর্জাতিক আইন সম্মত বলে দাবি করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল বলছে, ইরানের পরমাণু শক্তি অর্জন মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। এদিকে, ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে সব ধরনের হুমকি উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর বৈধতা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। এর ফলে, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে এবং আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতি বিশ্ব নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পরমাণু অস্ত্র এবং তার বিস্তার সংক্রান্ত এই উত্তেজনা আগামী সময়ে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করতে পারে, যার প্রভাব শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর পড়বে। তথ্যসূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল |