শিরোনাম |
সুদানে সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি, নিহত অন্তত ৬৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদান যুদ্ধের কবলে পড়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলতে থাকায় এই সংঘাত শুরু হয়। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, দক্ষিণ সুদানের সাউথ কর্ডোফান প্রদেশে কাদুগলি শহরে গোলাবর্ষণের ফলে অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন। কাদুগলিতে হামলার জন্য সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীটির নেতা আবদেল আজিজ আল-হিলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে এই গোলাবর্ষণ করেছেন। গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, “এই হামলা ছিল কাদুগলি শহরকে অস্থিতিশীল করার জন্য।” এদিকে, দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় সামরিক বিমান হামলায় ২৫ জন নিহত এবং ৬৩ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় আরো ২০ লাখ মানুষ প্রভাবিত হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে আরএসএফের অবরোধের মধ্যে আছেন। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যম এএফপির এক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। এটি ছাড়াও, গত শনিবার খার্তুমের ওমদুরমান শহরে গোলাবর্ষণের ঘটনায় ৬০ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই শহরটি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, আরএসএফের উপস্থিতি সেখানে ছিলো এবং তাদের আক্রমণে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। সুদানে গত এক বছর ধরে চলতে থাকা এই ভয়াবহ সংঘাতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, এবং আরো হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। দেশটির জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে, কারণ যুদ্ধের ফলে সেখানে জীবনের অনেক মৌলিক চাহিদা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সুদানে চলমান এই সংঘাত কেবল দেশটির জন্য নয়, পুরো আফ্রিকার জন্যই একটি বড় সংকট সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি দ্রুত সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ দাবি করছে, যাতে এই সংঘাতের ভয়াবহতা আরো বাড়তে না পারে। |