শিরোনাম |
জাককানইবিতে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ সংস্কারের দাবিতে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে মানববন্ধন
মাসুম মিয়া
|
![]() জাককানইবিতে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ সংস্কারের দাবিতে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে মানববন্ধন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম,সেশনজট,রেজাল্ট বিলম্ব ইত্যাদি বিষয়ে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।এসময় তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। ১.রেজাল্ট বিলম্বে, হলে সিট না পাওয়ার দায়ভার বিভাগকে নিতে হবে, হলে সিটের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে এবং আগ্রহের ভিত্তিতে বিভাগকে দুইটি স্ট্রীমে ভাগ করতে হবে। ৩. ১৫ দিনের মধ্যে একটি বৈধ সিলেবাস প্রনয়ণ করতে হবে। ৪.পরিক্ষার ৩ মাসের মধ্যে সেমিস্টারের রেজাল্ট দিতে হবে। ৫.সেমিস্টার পরিক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে ইনকোর্সের রেজাল্ট দিতে হবে। ৬.রুটিন অনুযায়ী শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে। ৭. তদন্ত করে মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, মাদকমুক্ত বিভাগ করতে হবে। ৮. সেশনজট মুক্ত বিভাগ করতে হবে। ৯. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়মিত বিভাগে অডিট করতে হবে। ১০.ল্যাব রুম ও সেমিনার লাইব্রেরির সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এ সময় ইনজামুল হক (২২-২৩ সেশন) বলেন,আমাদের রেজাল্ট বিলম্বের কারণে আমরা আমাদের ন্যায্য হলের সিট পাইনি। আমরা তিনদিন যাবৎ দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাদের সমাধান দিচ্ছে না। নাইমুল ইসলাম (২১-২২সেশন) বলেন,ডিপার্টমেন্টের স্বেচ্ছাচারীতার কোনো জবাব দিহি নেই। সেশনজট,রেজাল্ট বিলম্ব, বিভিন্ন বিষয়ে অবহেলা লেগেই আছে।আমাদের বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে যার প্রভাব সবার উপরে পড়ছে। সিফাত (২২-২৩সেশন) বলেন,আমাদের ল্যাব ফ্যাসিলিটিস খুবই দুর্বল,নব্বই শতাংশ কম্পিউটার অকেজো, সেমিনার লাইব্রেরি সবসময় বন্ধ থাকে, সেখানে তেমন কোনো বই নেই। গালিব(২২-২৩ সেশন) বলেন, আমাদের বিভাগে প্রথম ব্যাচ এর প্রায় ৯ বছর লেগেছে অনার্স মাস্টার্স শেষ করতে, ২য় ব্যাচ প্রায় ৮ বছরে শেষ করে। যেখানে ৫ বছর লাগার কথা। বিভাগটি প্রধান ড. তুহিনুর রহমান কোনো দায় নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন,এতে আমার কিছু করার নেই,বহিস্থ শিক্ষক রেজাল্ট দিতে দেরি করেছে। মানববন্ধনের এক পর্যায়ে কলা অনুষদের ডিন ড. ইমদাদুল হুদা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর পরিচালক ড.আশরাফুল আলম, প্রক্টর মাহবুবুর রহমান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত হন। ডিন ড.ইমদাদুল হুদা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং লিখিত আকারে দাবি গুলো তাঁর কাছে শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করে। উল্লেখ্য, ১১ মাস পর রেজাল্ট হওয়ায় হলের সিট বরাদ্দের ভাইবায় মার্কশীট দেখাতে পারেনি ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীরা,যার ফলে তারা ন্যায্য সিট পায়নি। |