শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০২:৪৭ এএম
শিরোনাম আয়নাঘর নিয়ে যা বললেন আজহারী       ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭টি কার্তুজসহ দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার        বাঁশজানি সীমান্ত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরাল বিএসএফ       দেশের সব আয়নাঘর খুঁজে বের করা হবে : প্রেস সচিব       জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২,৮০০ কোটি টাকা চেয়েছে ইসি       তিস্তা ইস্যুতে এবার মাঠে নামছে বিএনপি       এস আলম পরিবারের ৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ      
কুরুশ কাঁটার কাজ করে লাখ টাকা আয় উদ্যোক্তা নুরজাহানের
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Saturday, 11 January, 2025
কুরুশ কাঁটার কাজ করে লাখ টাকা আয় উদ্যোক্তা নুরজাহানের

কুরুশ কাঁটার কাজ করে লাখ টাকা আয় উদ্যোক্তা নুরজাহানের

 তিন বছর আগে ছেলের ইদ সালামির ৪ হাজার টাকা দিয়ে সুতা কিনে হাতের কাজ শুরু করেন নুরজাহান বেগম (৩৫)। এরপর তেমন সাড়া না মিললেও এখন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন এই নারী উদ্যোক্তা। কুরুশ কাঁটার কাজ শুরুর পর স্থানীয় নারীদের বাড়ি বাড়ি ডেকে এনে তিনি কাজ শিখিয়েছেন। এখন তাদের দিয়ে অর্ডারের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন এই নারী উদ্যোক্তা। এখন সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখবেন তিনি।
জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের রমনা মিয়া বাড়ি এলাকার মো. আসিফ ইকবালের সহধর্মিণী নুরজাহান বেগম। নুরজাহান বেগম মায়ের কাছে কুরুশ কাঁটার কাজ শিখেছেন প্রথমে। এরপর স্বল্প পরিসরে নিজের ব্যবহারের জন্য তৈরি করতেন বিভিন্ন ধরনের সুতার পণ্য। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ ভালো সাড়া পেতে থাকলে ছেলের ইদ সালামির চার হাজার টাকা দিয়ে সুতা কিনে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন এই ব্যবসা। এরপর প্রথম দুই বছরে নিজের সামান্য মুনাফা দিয়ে চলছিল তার কুরশি কাঁটার ব্যবসা। পরের বছর বেসরকারি সংস্থার ২২ হাজার টাকা পান। পরে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পুরো উদ্যমে শুরু করেন ব্যবসা। তিন বছরে প্রায় লাখ টাকা আয় করেছেন এই নারী উদ্যোক্তা। এখন তিনি শুধু নিজ এলাকায় নয়, অনলাইন মাধ্যমেও এসব পণ্য বিক্রি করছেন বিভিন্ন জেলায়। উদ্যোক্তা নুরজাহান বেগম জানান, চাহিদা বেশি হওয়ায় নিজ এলাকার নারীদের ফ্রিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন তার তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন ওই এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১২ নারী। কাজ শিখে এখন অর্ডারের কাজও করেন কলি নামে এক নারী। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের হাত খরচের টাকা চালাতে পারে নিজেই। কলি খাতুন বলেন, নুরজাহান বেগম দীর্ঘদিন থেকে কুরুশ-কাঁটার কাজ করেন। একদিন এখানে এসে দেখি তিনি কাজ করছেন। পরে সেখান থেকে এই কাজ শিখার আগ্রহ হয়। আমিও কাজ শিখি। শুধু আমি নই আমার এলাকার আরও অনেক নারী এখানে ফ্রিতেই কাজ শিখেছেন। এখন পড়ালেখার পাশাপাশি আমি এই কাজ করে নিজের হাত খরচ চালাতে পারছি। অপর এক গৃহিণী মনিরা খাতুন বলেন, আমরা আগে কুরুশ-কাঁটার কাজ জানতাম না পরে নুরজাহান আপার থেকে কাজ শিখে এখন সংসারের আয় করতে পারছি। সাংসারিকভাবেও এখন স্বচ্ছলতা এসেছে। নুরজাহান আরও বলেন, কুরুশ কাঁটার কাজ সুতা দিয়ে করতে হয়। আমার এখানে ডাইনিং টেবিলের সেট, কুসুন কভার, মশারির কভার, বাচ্চাদের টুপি, জুতা, জামার গলা, ব্যাগ, গায়ের শাল সহ ১৫-২০ টি প্রোডাক্ট রয়েছে। এছাড়াও ক্রেতারা যেভাবে চান আমরা সেভাবেই কাজ করে দেই। এখন এলাকার বাইরেও অনলাইনে মাধ্যমে বিভিন্ন জেলাতেও বিক্রি করছি মোটামুটি ভাবে। তিনি বলেন, আমার তিন বছরের প্রায় লাখ টাকা আয় হয়েছে। এখন যদি বেশি বিক্রি করতে পারি তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হবে। যেটা দিয়ে আমি আমার সংসারে স্বচ্ছলতা নিয়ে এসেছি। আমি নিজে থেকে এই এলাকার ১০-১২ জন নারীকে এই কাজ শিখিয়েছি। এখন তারাও অনেকটাই স্বাবলম্বী।  রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান, নুরজাহান বেগম দীর্ঘদিন থেকে কুরুশ-কাঁটার কাজ করে আসছেন। তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। ওনার এই হস্তশিল্প বাজারজাত করণে সঠিক প্রক্রিয়া না থাকায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করছি। এর আগে ওনাকে-সহ জেলা প্রশাসক স্যারের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলাম। সেসময় তিনি সরকারিভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমি আশা করি উপজেলা প্রশাসন থেকে নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবেন।  
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, উদ্যোক্তা যারা আছেন, যারা ভালো কাজ করেন তাদের পাশে সব-সময় আছি।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com