শিরোনাম |
হামাসকে দোহা ত্যাগের নোটিশ দিয়েছে কাতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
|
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে কাতার ত্যাগ করার নোটিশ দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রায় এক সপ্তাহ আগে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন কাতারের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় শান্তি স্থাপনের জন্য সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে না নেওয়া এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাস অস্বীকৃতি জানানোয় যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দোহা। দু’সপ্তাহ আগে হামাসকে প্রস্তাবের খসড়া পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, “যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাব এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে আহ্বান জানিয়েছিল; কিন্তু হামাস তাতে সায় দেয়নি। তারপর ওয়াশিংটন কাতার সরকার বরাবর অনুরোধ করে যে হামাসকে যেন (দোহা ত্যাগের) নোটিশ দেওয়া হয়। আমরা সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছি। তবে নোটিশ দেওয়া হলেও কত দিনের মধ্যে হামাস নেতাদের দোহা ছাড়তে হবে- এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতি। পাশাপাশি এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায় এবং ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান নীতিতেও’ তাদের আস্থা নেই। ২০০৬ সালের নির্বাচনে জিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। তারপর আর নির্বাচন হয়নি গাজায়। তবে গাজা শাসন করলেও হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ সেখানে থাকেন না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০১২ সাল থেকে কাতারে অবস্থান করছেন হামাসের শীর্ষ নেতারা। গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান দপ্তরও দোহায় অবস্থিত। এছাড়া কাতার হামাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তা দাতা দেশ। ২০২৩ সালে হামলার আগ পর্যন্ত হামাসকে প্রতি বছর গড়ে ১৮০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে কাতার। তবে ইসরায়েলে হামলা ও গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাস নেতাদের অনমনীয় মনোভাব হামাস ও দোহার সম্পর্কে শীতলতা সৃষ্টি করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে হামাসকে দোহা ত্যাগ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল কাতার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে সে সময় কাতারের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছিলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত সংলাপ কার্যত থেমে আছে এবং শিগগিরই আবার তা শুরু হবে- এমন সম্ভাবনা এই মুহূর্তে খুবই কম। কাতার শুরু থেকে এই যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে ভূমিকা রেখে আছে এবং যুদ্ধ থামানোর জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করেছে। “এ কারণে যুদ্ধের যে পর্যায় বর্তমানে চলছে, তা কাতার এবং হামাস-উভয়ের জন্য অস্বস্তিকর এবং উভয়পক্ষের মধ্যেই এক ধরনের অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। আরেক কর্মকর্তা বলেছিলেন, “শান্তি সংলাপের বর্তমান যে অবস্থা, তা খুবই হতাশাজনক। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি যে কাতার তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।-সিএনএন |