শিরোনাম |
ইরানের পরমাণবিক স্থাপনায় হামলার পক্ষে মত ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
|
আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু দিন ধরে দাবি করে আসছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে গাজায় যুদ্ধ হতো না। তিনি যুদ্ধের বিপক্ষে। কিন্তু এবার তার কন্ঠে উল্টো সুর। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা চালানো উচিত- এমন মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, এ হামলা হওয়া উচিত সম্প্রতি ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে। গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ফায়েটভিল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে লড়ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে সমর্থন দেবেন কি না? জবাবে সরাসরি ‘না’ বলেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁরা (সাংবাদিকেরা) তাঁকে (বাইডেন) জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইরানের বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন, আপনি কি ইরানে (পারমাণবিক স্থাপনায়) আঘাত হানতে চান? আর তিনি বললেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত (ইসরায়েলের) পারমাণবিক স্থাপনায় (ইরান) হামলা না চালাচ্ছে।” এর মানে আপনি (বাইডেন) হামলা চালাতে চান, তা–ই নয় কি?’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যখন তাঁরা তাঁকে (বাইডেন) এ প্রশ্ন করেছিল, তখন উত্তরটা হওয়া উচিত ছিল, আগে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করা হবে, বাকি বিষয়ে পরে ভাবলেও চলবে। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর পর থেকে ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পরদিন, অর্থাৎ বুধবার হারিকেন ‘হেলেনের’ তাণ্ডবে নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জো বাইডেন। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এখন কী করতে চাইছে, সে বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছেন যে ইসরায়েলের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে খুব কমই কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি এক বিবৃতিতে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটের জন্য বাইডেন এবং হ্যারিসকে দায়ী করেছেন। |