শিরোনাম |
শেখ হাসিনার বিকল্প কে’ এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন লুটতরাজরা : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে টেলিভিশনের মালিক হওয়া যায়, অর্থবিত্তের মালিক হওয়া যায়, ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করে টাকা পাচার করা যায়, এই ধরনের ব্যক্তিরাই বলেছিলেন ‘শেখ হাসিনার বিকল্প কে? আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শনির আখড়া মাতুয়াইল মৃধা বাড়ি এলাকায় এই মানবিক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ সৈকত চন্দ্র দে এবং শহীদ পারভেজের পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। রিজভী বলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মানবিক সংগঠন। যেটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের চেয়ারম্যান হওয়া আগেও তিনি আন্দোলনে ও ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে পঙ্গুত্ব বরন, চোখ হারিয়ে যাওয়া ও শহীদদের পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন। সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি তো হচ্ছে মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য, শুধু আমি এমপি হবো এবং রাষ্ট্রের বড় বড় পদে আসীন হবো, এজন্যই রাজনীতি নয়। এটি নির্ধারণ করবে আমি নিজেকে কতটুকু মানবসেবায় নিয়োজিত রেখেছিলাম, তার ওপরেই তো মানুষ আমাকে বিবেচনা করবে, তাকে জনপ্রতিনিধি করলে সত্যিকারের অর্থেই সে এলাকার ভালো কাজ করবে। রিজভী বলেন, একটা ভয়ঙ্কর দুঃসময় আমরা অতিক্রম করে এসেছি। এখান থেকে আমি যদি অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বের হয়ে যাই, কোনো গোয়েন্দা পুলিশ এসে আমাকে গ্রেফতার করবে না। গ্রেফতার করে আয়নাঘরে নিয়ে যাবে না। নির্ভয়ে পথ চলতে পারি। এই পরিবেশটির জন্যই গত ১৫-১৬ বছর ধরে বিএনপি নিরন্তর সংগ্রাম করেছে। এই সংগ্রামে আমাদের অগণিত কর্মী-নেতারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। এর একটাই কারণ আমরা কথা বলতে চাই, স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে চাই। অন্যের সাথে আমার দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু তার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি জীবনও দিতে পারি। এটাই গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে কিভাবে জীবন যাপন করেন, দেশের কত টাকা বেতন পান এ বিষয়ে প্রশ্ন করার কারো ক্ষমতা ছিল না- মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে লিখেছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান, তাকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করে কী অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে! ৭২ থেকে ৭৫ এ শেখ হাসিনার বাবার আমলেও একই ভয়াবহ অবস্থা ছিল। রক্ষী বাহিনীর সেই বীভৎস কাহিনী এখনো অনেকে ভুলতে পারে না, যারা সেই সময় যুবক ছিল। বাবার অপশাসনের কথা যদি মেয়ের আমলে কেউ বলতো তবে তাকে আর ফিরে পাওয়া যেত না। একেবারে দেশটাকে পারিবারিক সম্পত্তি করেছিলেন শেখ হাসিনা। তার পরিবার ও কাছের লোকরা যত কুকর্ম করুক, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে হাজার হাজার লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করেছে। এইজন্যই তিনি আন্দোলনকে দমন করেছেন। গণতন্ত্রের কথা শোনেননি, জনগণের কথা শোনেননি। এই দেশ আমাদের- এমন মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, এ দেশ জনগণের, এ দেশকে বাইরে থেকে এসে কেউ গঠন করে দিয়ে যাবে না। কোনো প্রভু এসে এ দেশকে গঠন করতে পারবে না। আমরাই আমাদের দেশকে গঠন করব। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আহবায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মিথুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডাক্তার তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ। |