শিরোনাম |
ইউক্রেনে পৌঁছেছে ভয়ংকর এফ-১৬, এখন কী করবে রাশিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
|
ইউক্রেনে পৌঁছেছে ভয়ংকর যুদ্ধবিমান এফ-১৬। দীর্ঘ সময়ের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া শেষে পশ্চিমা মিত্রদের থেকে এ ভয়ংকর যুদ্ধবিমান পেয়েছে তারা। এ যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়ায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মোড় দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন সমরবীদরা। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, সম্প্রতি ইউক্রেনের হাতে পাওয়া পশ্চিমী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। এ বিষয়ে কিয়েভকে সচেতন হতে হবে। ক্রেমলিনের এ বিবৃতি এমন সময় এসেছে যখন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে যে মার্কিনিদের তৈরি করা যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান ইউক্রেনে পৌঁছেছে। তবে কোন দেশ থেকে ইউক্রেন এ বিমানের চালান পেয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে সরবরাহ হওয়া যুদ্ধবিমানের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ব্লুমবার্গের এমন প্রতিবেদনের জবাবে পেসকভ বলেন, কিয়েভের জন্য কোনো ম্যাজিক পিল নেই, যা তাদের দীর্ঘ সময় ধরে পরিত্রাণ দেবে। ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, ধীরে ধীরে এ বিমানের সংখ্যা কমতে থাকবে। কেননা এগুলোকে ভূপাতিত করা হবে। ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিকে এগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে না। আরটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানের চালান পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার বা নিশ্চিত কিছুই করেনি কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিয়ানা দাভিতয়ান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, কানাডা, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া এবং সুইডেনসহ বেশ কয়েকটি ন্যাটো সদস্য দেশ এফ-১৬ জোট গঠন করেছিল। এ জোট কিয়েভকে আমেরিকান তৈরি যুদ্ধবিমান দেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অন্যদিকে মস্কো বারবার সতর্ক করে আসছে, কিয়েভকে দেওয়া অন্যান্য পশ্চিমা অস্ত্রের ন্যায় যুদ্ধবিমান পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। রাশিয়ান সামরিক বাহিনী অন্যান্য অস্ত্রের মতো এসব বিমানও ধ্বংস করবে। |