শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০২:৩১ পিএম
শিরোনাম মহম্মদপুরে ক্যাডেট কেয়ার এর শুভ উদ্বোদন        সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী, বাংলাদেশ ৯৩তম        বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন গাজীপুরে       ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বিএনপি: রিজভী       বেনজীরের ফাঁদে পা দেবেন না : জামায়াত আমির       বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া: প্রেস সচিব        খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ       
ঢাবির ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে, জানালেন উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Friday, 26 July, 2024
ঢাবির ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে, জানালেন উপাচার্য

ঢাবির ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে, জানালেন উপাচার্য

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুক্রবার তিনি হল দুটি পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে বিভিন্ন হলের কক্ষগুলো সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটা ইউজিসি থেকে আসবে। এরপর পিপিআর মেনে টেন্ডার হবে। সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।

গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের শুরুর ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, সেদিন ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল হলপাড়াখ্যাত বঙ্গবন্ধু হল, কবি জসীমউদ্দিন হলের দিকে আসে। দুপুরের সময় প্রভোস্টরাও হলে ছিল না, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রভোস্টদের টেলিফোন করেছি। প্রক্টরিয়াল টিমকেও বলি সেখানে যাওয়ার জন্য। ততক্ষণে সেখানে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এরপর আমরা দেখলাম, সবার হাতে লাঠি। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। প্রভোস্টরা বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে গেছে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, সেখানে গিয়ে আমরা বস্তুত অর্থে মারামারি থামাব...?। কারণ, দু’পক্ষের হাতেই লাঠি এবং শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ অপরিচিত, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদেরও তারা চেনে না। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টা হয়ে গেল।

মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের যদি জানা থাকত একটা মিছিল এদিকে আসবে। তখন আমাদের প্রস্তুতিটা থাকত। আকস্মিকভাবে ঘটনা ঘটে গেল। আর মুহূর্তের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গেল। আমাদের যেহেতু আগে জানা ছিল না মিছিলটি এইদিকে আসবে। সেই ক্ষেত্রে এ ধরনের মবকে কন্ট্রোল করা এবং সবার হাতে লাঠি, আমাদের চেষ্ঠা সত্ত্বেও। প্রভোস্টরা রুমে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, প্রক্টরিয়াল টিম চেষ্টা করেছে।

উপাচার্য বলেন, আমি রুম থেকে বের হয়ে সেদিকে যাব দেখলাম সবার হাতে লাঠি। ততক্ষণে আমি সব প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি। হাউজ টিউটরদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। প্রক্টরিয়াল টিমকে জনে জনে টেলিফোন করে জানতে চেয়েছি, পরিস্থিতি কী। তখন আমাদের মলচত্বর থেকে মবটা চলে গেছে সামনের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যতটুকু করণীয় ছিল, আমাদের করণীয়-দায়িত্বটুকু আমরা পালন করেছি। 

পরিদর্শনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com