শিরোনাম |
তরুণদের হাতে নেতৃত্বের মশাল তুলে দেওয়ার এটাই সময় : বাইডেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
|
![]() তরুণদের হাতে নেতৃত্বের মশাল তুলে দেওয়ার এটাই সময় : বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপে ছিলেন তিনি। পরে নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থিতা থেকে সরে আসেন এবং রবিবার তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, কমলা হ্যারিস তার সমর্থক, ডেমোক্র্যাট ও দেশকে একত্র করবেন। তিনি আরো বলেন, ‘ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমাদের গণতন্ত্র রক্ষায় বাধা হতে পারে না। আমি এই অফিসকে সম্মান করি। কিন্তু আমি আমার দেশকে আরো বেশি ভালোবাসি। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় সরকারি পদে থাকা বাইডেন বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বের মশাল দেওয়া। আমাদের দেশবাসীকে একত্র করার এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন বাইডেন। এ সময় ৫৯ বছর বয়সী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ‘অভিজ্ঞ, কঠোর ও সক্ষম’ পার্টনার অভিহিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এখানে শাসন করে, রাজা ও শোষকরা শাসন করে না। ইতিহাস গড়ার ক্ষমতা আপনাদের হাতে। ক্ষমতাও আছে আপনাদের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা আপনাদের হাতেই ন্যস্ত। বাইডেন গত মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার বিতর্কে বিপর্যয়কর পারফরম্যান্সের প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও দাতাদের দিক থেকে চাপের মুখে ছিলেন। অবশ্য তিনি এ কথা উল্লেখ করেননি ভাষণে। যদিও বাইডেনের মেয়াদের এখনো ছয় মাস বাকি আছে। কিন্তু এই বক্তব্যটি আগাম বিদায়ের মতো শোনায়। মার্কিনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই জাতিকে সেবা করা আমার জীবনের সৌভাগ্যের বিষয়।’ বাইডেনের এই বক্তব্যে তার প্রশাসনের সফলতার কথা, যেমন স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি নিয়ে তার পলিসিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। পেনসিলভানিয়ার স্ক্যান্টনের একটি ছোট শিশু থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, এটাই প্রমাণ করে যে সবার জন্য সমান সুযোগের যে স্বপ্ন সেটি যুক্তরাষ্ট্রে বিরাজ করে। এদিকে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বুধবার রাতে পোস্ট করেছেন, প্রেসিডেন্টকে ‘বোঝা দুর্বোধ্য ও খুব খারাপ’। দিনের শুরুতেই নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে এক সমাবেশে রিপাবলিকান ট্রাম্প হ্যারিস ও বাইডেনকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর ধরে মিথ্যা কথা বলা কমলা হ্যারিস বাইডেনের প্রতিটি বিপর্যয়ের পেছনে অতি উদার চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। সে বামপন্থী একজন পাগল, যে একবার প্রেসিডেন্ট অফিসে ঢোকার সুযোগ পেলে আমাদের দেশকে ধ্বংস করে দেবে। এদিন হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি কেরিন জিন পেরি বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ‘স্বাস্থ্যগত কারণে নয় ’ বলে জানান, তবে এর বেশি জানাতে অস্বীকার করেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস ও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমারও। বিনোদন জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বও সমর্থন করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্টকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন জর্জ ক্লুনি, বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, জেমি লি কার্টিস ও অন্য হলিউড তারকারাও। এর ফলে তার প্রচারের জন্য আরো অনুদান পাওয়ার সম্ভাব্য রাস্তা খুলে যেতে পারে। অন্যদিক কমলা হ্যারিসের রানিং মেট কে হবেন, সে-সংক্রান্ত চিন্তা-ভাবনাও চলছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে।-বিবিসি |