শিরোনাম |
প্রধানমন্ত্রী আজই দেশে ফিরছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সে দেশে তাঁর দ্বিপাক্ষিক সফর শেষে আজ রাতে ঢাকার উদ্দেশে চীনের রাজধানী বেইজিং ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০৪) আজ স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বেইজিং ক্যাপিটল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবে এবং বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ঢাকা পৌঁছনোর কথা রয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করার কথা ছিল। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। একইদিন বিকেলে শি জিং পিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে ৮ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত তাঁর চীন সফর শেষ হবে। সফরটি বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের শেষ দিনে বাংলাদেশ ও চীন ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও ঘোষণা করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরআগে একাধিকবার চীন সফর করেন। তিনি সর্বশেষ বেইজিং সফর করেন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। ২১ থেকে ২২ জুন সর্বশেষ ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর হচ্ছে। শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাইয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন শেক হাসিনার আবাসস্থলের সভা কক্ষে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং সাংগ্রি-লা সার্কেলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। বিকেলে, বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপল-এ প্রধানমন্ত্রী ও কনসালটেটিভ পার্টির সভাপতি ওয়াং হুনিংয়ের নেতৃত্বে একটি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে চীনের জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘দ্য মনুমেন্ট টু দ্য পিপলস হিরোস‘-এ বিপ্লবী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউজে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক তাঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন। ১০ জুলাই গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর নেতৃত্বে ও তাদের উপস্থিতিতে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সমঝোতা স্মারকসহ (এমওইউ) বেশ কটি নথি স্বাক্ষরিত হবে। পরে তিনি একই ভেন্যুতে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দেবেন। বিকেলে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। |