শিরোনাম |
বেনজীরের রিসোর্ট নিয়ন্ত্রণে নিল জেলা প্রশাসন
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা:
|
![]() বেনজীরের রিসোর্ট নিয়ন্ত্রণে নিল জেলা প্রশাসন রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিসোর্টের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন। ঘোষণায় জানানো হয়, আদালতের নির্দেশে ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক’- এর রিসিভার হিসেবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। শনিবার (আজ) থেকে পার্কের যাবতীয় কার্যক্রম জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে। অভিযানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো.সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দুদকের মামলায় সাভানা পার্ক ক্রোক করা হয়েছে। দুদুকের সহযোগিতায় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্রোক আদেশ জারি করেছেন। এই সম্পদ এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলবে। দুদকের উপপরিচালক গোপালগঞ্জের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আদালত একটি আদেশ দিয়েছেন। এখানে তিনটি পার্ট রয়েছে। এর মধ্যে পুকুর বা মৎস্য ঘেরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে জেলা মৎস্য অফিস, কৃষি জমির ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বে থাকবে জেলা কৃষি অফিস এবং রিসোর্টে দায়িত্বে থাকবে জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো আদালতের রায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাইনি। আদালতের রায় পাওয়ার পর আমরা এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করব। আদালত ও দুদকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃত সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, এটি বন্ধ করে দেওয়া নয়। একটি কমিটি গঠন করে এটি আমরা পরিচালনা করব। এখান থেকে যে আয় হবে তা আমরা অ্যাকাউন্টে রাখব। রায় পাওয়ার পর আমরা সার্বিক দায়িত্ব বুঝে নেব। অন্যদিকে, পার্কের জব্দ হওয়া পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে ওই প্রকল্পের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে সদর থানায় মামলা করেছে দুদক। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক গড়ে তোলেন। এ পার্কে জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোরপূর্বক এবং নানা কৌশলে কেনা হয়েছে। এছাড়া অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। |