শিরোনাম |
মৌলভীবাজার হাওড় রক্ষা সংগ্রাম কমিটি কর্তৃক অনুষ্ঠিত হলো পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব সংবাদাতা:
|
![]() মৌলভীবাজার হাওড় রক্ষা সংগ্রাম কমিটি কর্তৃক অনুষ্ঠিত হলো পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সভা এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডউই) এর নির্বাহী প্রকৌশলী জাভেদ ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেচ সমস্যা দূর করতে লাচগাং নদীর উজানে একটি স্লুইস গেট বা একটি রাবার ড্যাম স্থাপন করা যেতে পারে যা বসাতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা খরচ হবে। আর সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এ ব্যাপারে তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না। মৌলভীবাজার হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি), মৌলভীবাজার কর্তৃক উপজেলা বিরইমাবাদে একটি অপরিকল্পিত কালভার্ট নির্মাণের প্রতিবাদে আহ্বায়ক শাহাজাহান আহমদ সাজু মিয়া এর আগেও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন । অপরিকল্পিত এই বক্স কালভার্ট নির্মাণের ফলে সদর ও বিরাইমাবাদ উপজেলার হাওরের অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ ও ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, যার জন্য আশেপাশের এলাকায় ফসল পচে যাচ্ছে, কারণ বর্ষাকালে জমি প্লাবিত হয়। এ প্রসংগে উল্লেখ করা যেতে পারে যে গত ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ এ মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মৌলভীবাজার হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদকে কে ফোনে তাদের দলের দখলে নিতে কাউয়াদিঘি হাওরে ১০০ একর ব্যক্তি মালিকের জমি চেয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ নেতা তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে তিনি সহযোগিতা না করলে তাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। পরবতীতে রাজন আহমদ এই ঘটনা হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সমস্ত কার্যনির্বাহী সদস্যদেরকে জানান। আরো উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দাবিকৃত ১০০ একর জমির ভিতরের একটি বড় অংশ হোল গত ০৫ এপ্রিল ২০২৪ মহা সমাবেশের আহ্বায়ক শাহাজাহান আহমদ সাজু মিয়ার। সাজু মিয়ার পরিবার এটা বুঝতে পেরেছিলো যে, সবচেয়ে বেশি চাষের জমি এই প্রকল্পের অধীনে ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চলে যাবে যা স্পষ্টতো উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও প্রতিহিংসা পরায়ণ কর্মকান্ড। শাহাজাহান আহমদ সাজু মিয়া প্রতিবেদক কে আরো জানান যে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষহীতে প্রচন্ড মানসিক চাপে তার স্ট্রোক হয় ও হাসপাতালে ভর্তি থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়। পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তার অনুসারী স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সাথে নিয়ে সাজু মিয়াকে ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ এ হাসপাতালে দেখতে আসেন এবং পরিদর্শনকালে তার ছেলে সাদিক আহমদ জনিকে সতর্ক করে দেন যে, তার বাবাকে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে অন্যথায় তার তাদের জমি রক্ষা করতে পারবেনা। ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সাদিক আহমদ জনিকে হুমকি দেয় যে, তাদের বিরুদ্ধে হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির তৎপরতা চালালে তাকেও জীবননাশের সম্মুখীন হতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের কবল থেকে শত শত জমির মালিকদের জমি বাঁচাতে কমিটি জমির অধিগ্রহণের সমস্যাটিও গত ০৫ এপ্রিল ২০২৪ মহা সমাবেশে একত্রিত করা হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় এই আলোচনার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রতিবেদক স্থানীয় সরকারের গাফলতি, অনিয়ম, অপরিকল্পিত পদক্ষেপ ও ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি, অবৈধ আত্মসাৎ, লুটপাট,হুমকির কথা তুলে ধরেছেন, যার কারণে স্থানীয় জনগণ আর্থিক ও সামাজিক ভাবে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছে । সাজু মিয়া আরও বলেন দেশের সুনাগরিক হিসেবে তাদের সবার একান্ত আশা, হাজার হাজার মানুষের অনেকদিনের দুর্ভোগ দূর করতে অতিসত্তর দলীয় মতামতের উর্ধে থেকে স্থানীয় সরকার এই সব ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে। নতুবা তারা সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্নীতি পরায়ন প্রশাসন ও দলীয় রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। আমরা এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি। |