শিরোনাম |
আগামী বছর আবার বাংলাদেশে আসছে অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল
প্রেস রিলিজ:
|
একটি এমডি-১০ বিমানের মধ্যে স্থাপিত বিশ্বের একমাত্র সম্পূর্ণ স্বীকৃত চক্ষু-চিকিৎসা হাসপাতাল -- অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল -- আগামী বছর নভেম্বরে ১১তম বারের মতো বাংলাদেশে আসছে। মঙ্গলবার (২ মে) ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত “১১তম ফ্লাইং আই হসপিটাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম-২০২৪” সম্পর্কিত এক পরামর্শ সভায় এ তথ্য জানানো হয়। অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) সভাপতি, আইএপিবি, এসইএ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কান্ট্রি চেয়ার এবং সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে অংশ নেন চক্ষু চিকিৎসা খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। পরামর্শ সভার আয়োজন করে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল (এফইএইচ) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনাকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরবিস ইন্টারন্যাশনাল। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি এবং একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া-প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজির (এপিএও) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আভা হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ওএসবি মহাসচিব অধ্যাপক দীপক কুমার নাগ, বিএসএমএমইউর অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরী এবং অরবিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ, সহযোগী পরিচালক ড. লুৎফুল হোসেন ও ইকবাল হোসেন। অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল অত্যাধুনিক শিক্ষাদানের একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে রয়েছে অপারেশন রুম, শ্রেণীকক্ষ ও পুনরুদ্ধার-কক্ষ। ১৯৮২ সাল থেকে এই এই হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। ডা. মুনির তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, গত ৪০ বছরের কার্যক্রমে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের ১০ বার বাংলাদেশে আগমন প্রমাণ করে চক্ষুরোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়নকে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে অরবিস। উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের বিগত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলোতে দেওয়া সহায়তার জন্য তিনি ওএসবি, ন্যাশনাল আই কেয়ার, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনের প্রশংসা করেন এবং এবারও একই রকম সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, এবারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ফোকাস হবে ‘চক্ষু চিকিৎসায় নারী নেতৃত্ব’। অধ্যাপক এনায়েত ১১তম উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত হাতেকলমের প্রশিক্ষণ এবং সিম্পোজিয়ামে আরও বেশি সংখ্যক নারীকে সংশ্লিষ্ট করার পরামর্শ দেন। অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উচ্চ প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের চক্ষু সেবা খাতে বিশাল অবদান রেখেছে, যার জন্য এ খাত কয়েক দশকে ‘একটি নীরব বিপ্লবের’ মধ্য দিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সব সময় উন্নত ক্লিনিকাল প্রশিক্ষণ এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দেয়।দেশের জ্যেষ্ঠতম চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আভা হোসেন বলেন, এফইএইচ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সাথে তার সম্পৃক্ততা তাকে চক্ষু চিকিৎসা-সম্পর্কিত উন্নত জ্ঞান এবং অস্ত্রোপচারের দক্ষতা অর্জনে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। তিনি বাংলাদেশি চিকিৎসকদেরকে চোখের অস্ত্রোপচারের উন্নত কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেন। অধ্যাপক শরফুদ্দিন ১১তম এফইএইচ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে সফল করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সকল অংশীজনের সহযোগিতার কামনা করেন। অধ্যাপক শহীদুল্লাহ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নবজাতক এবং চোখের সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন। তিনি বিসিপিএসের পক্ষ থেকে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম মিশনের পর থেকে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল বাংলাদেশে বহু চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নার্স ও বায়োমেডিকেল টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যারা দেশের চক্ষুচিকিৎসা খাতকে সাজাতে সাহায্য করেছে। এ হাসপতাল ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ১০তম সফর করেছিল আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ:সায়ীদ রুমি ০১৯০ ৫০৪২৮৯৪ ।প্রেস রিলিজ |