শিরোনাম |
রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তা কমিয়ে দিচ্ছে জাতিসংঘ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফের দুঃসংবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) তহবিল ঘাটতি দেখিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যসহায়তা কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। দাতাদের কাছ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা না পাওয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্থসামাজিক অস্থিরতাসহ নানান সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এরই মধ্যে খাদ্যসহায়তা কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা রোহিঙ্গা সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে মত দিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও মহামারির কারণে দাতাদের বাজেট কমে গেছে। এতে তহবিল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে মার্চ থেকে কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ ১৭ শতাংশ কমিয়ে ১২ ডলার থেকে ১০ ডলার করা হবে। বাংলাদেশে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দাতারা যদি বাংলাদেশে আশ্রিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে সেটা প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ হবে।’ কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রয়টার্সকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরেই অবস্থান হয়। বাইরে কাজের সুযোগ নেই। যদি অর্থসহায়তা কমে যায়, তাহলে রোহিঙ্গারা কাজর খুঁজতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। এতে তাদের ক্যাম্পের মধ্যে ধরে রাখা মুশকিল হবে।’ উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হত্যা ও নিপীড়নে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তার আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছিল কয়েক লাখ। কক্সবাজার ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে সব মিলিয়ে বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। |