চিকিৎসকের অবহেলায় অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণ ফারিয়া। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি
শামীম পাটোয়ারীঃ
Published : Wednesday, 30 July, 2025
চিকিৎসকের অবহেলায় অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণ ফারিয়া। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি
প্রতিটা মানুষের মৃত্যু কষ্টের হয়, কিন্তু এই মৃত্যুটা একটু বেশিই হৃদয়বিদারক। ফারিয়া নাম তার।বয়স মাত্র ২৩, বাবা মায়ের আদরের ছোট মেয়ে। পেটে যখন ছোট একটা প্রাণের অস্তিত্ব পায় তখন থেকেই দীর্ঘ ৯ মাস পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসক নুসরাত জাহান বিন্তীর কাছেই যাবতীয় পরামর্শ নেয়। ১৯-০৭-২০২৫ এক মিথ্যা মামলায় ফারিয়ার হাসব্রেন্ডকে গভীর রাতেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ফারিয়া পুলিশদের কাছে মিনতি করে বলে,,ও চাচাগো আমার জামাই রে নিয়েন না আমার কাল সিজার গো চাচা,,,আমারে ২টা দিন সময় দেন আমি নিজে আমার জামাই রে থানায় দিয়ে আসবো। পুলিশরা ছেড়ে যায় নি,পরের দিন ছিল ফারিয়ার ডেলিভারির ডেট। সময় মতো বিকাল ৩ টায় লাইফ জেনারেল হসপিটাল ফরিদগঞ্জ সেই ডাক্তার নুসরাত জাহান বিন্তীর কাছে যায়। ঐ ডাক্তার ৩ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করায় এবং মাঝে আল্ট্রা ও করে। সন্ধ্যার পর OT তে নিয়ে এনেস্থিসিয়া দেয়,,যাদের সিজার হইসে বা এই বিষয়ে ধারণা আছে,তারা জানবে সিজারের আগে এনেস্থিসিয়া দিয়ে সাথে সাথে রোগীকে বেডে শুয়ে যেতে হয়।এমনকি এনেস্থিসিয়া দেওয়ার পর রোগীর মাথার নিচে একটা বালিশ ও দেয় না যেনো এই ইনজেকশনের কোনো অ্যপেক্ট পেটের উপরের দিকে না যায়। আর সেইখানে ডাক্তার নুসরাত জাহান বিন্তী এনেস্থিসিয়া দিয়ে ফারিয়াকে এক রুম থেকে অন্য রুমে হেটে যেতে বলে।হেটে যাওয়ার সময়ই ফারিয়ার ইন্টারন্যাল ব্লিডিং শুরু হয়(এই ব্যাপরটা ডাক্তার লুকিয়ে যায়,পরবর্তীতে ফারিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারকে এই কথা জানায়)।কিন্তু ফরিদগঞ্জের ডাক্তার বিন্তী ব্যাপারটা গোপনের জন্য কানাগুষা শুরু করে। যার ফলে ফারিয়ার আন্টি সন্দেহবশত ভিতরে প্রবেশ করে দেখে ৩ টা রুমে শুধু রক্তের মধ্যে পায়ের চাপ,আর ডাক্তার এর সাথে থাকা আয়া ব্যাপরটা লুকানোর উদ্দেশ্য রক্ত মুছে ফেলতেছে।আন্টি জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় এক্ষুনি সিজার করতে হবে না হয় বিপদ হবে। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে ফারিয়ার মা ও সিজারের সকল কাগজপত্রে সাইন করে। আর নুসরাত জাহান বিন্তী সিজার শুরু করে। ডাক্তার নুসরাত জাহান বিন্তী বলতে ও ঘৃণা লাগে মনে হয় যে তার সাথে ব্যবসায়ী,অথর্লোভী ডাইনি নামটা তার কাজের সাথে যায়। কারণ ঐ ডাক্তার নামক কসাইটা যখন দেখল সিজারের আগেই নিজের ভুলে রোগীর ব্লাড চলে যাচ্ছে, সেখানে আগে রোগীকে ব্লাড দিয়ে সুস্থ না করে সিজারের সিদ্ধান্ত নিল। কেননা সিজার করতে পারলেই সে অনেকগুলো টাকা পাবে কিন্তু এই অবস্থায় ছেড়ে দিলে সেই সুযোগ নাই।শুধু মাত্র এই লোভে একটা প্রাণ শেষ করে দিল। সিজারের মধ্যে হঠাৎ ঐ বিন্তী ডাইনি অভিভাবককে জানালো ফারিয়ার পেটে টিউমার যার কারণে বাচ্চা বের করা সম্ভব না। নিজেদের দোষ টের পেয়ে ঐ নুসরাত জাহান বিন্তী নামক ডাইনিটা বাচ্চা পেটে রেখে আবার সেলাই করে ঢাকা নিয়ে যেতে বলে। ফারিয়ার মা চিৎকার করে কান্না করে বলে,আপনি তো সিজারের আগেও আল্ট্রা করলেন তখন দেখেন নাই,,এখন আমার মেয়ের পেট কেটে ঢাকা পাঠাচ্ছেন,ও ডাক্তারগো আপনি আগে বলতেন আমরা আমার মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যেতাম,এখন এই পেট কাটা নিয়ে আমার মেয়েকে বাঁচাবো কেমনে। ঢাকা যাওয়ার পথে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর ও ফারিয়া সেলাইর ব্যথায় চিৎকার করে কিন্তু এইদিক ঐদিক হয় না। কারণ পেটে যে এখনো একটা ছোট্ট প্রাণ। ঢাকায় আবার বাচ্চা বের করার জন্য সিজারের আগে ফারিয়া ডাক্তারদের কাছে ডাইনি বিন্তীর সকল অনভিজ্ঞ কাজের কথা বলে। ২দিন পর ঢাকা বার্ডেম থেকে একটা স্পেশাল টিম আসে এবং তারা সকল রিপোর্ট দেখে সিউর করে যে রোগীর এই অবস্থার জন্য দায়ী ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে ওঠা হাসপাতালের অনভিজ্ঞ ডাক্তার নুসরাত জাহান বিন্তী। শেষ অবস্থায় ফারিয়া শুধু নিজের হাসবেন্ডকে এক নজর দেখার জন্য তার দেবর কে বলে, ভাই আপনার ভাইয়ের জামিন হইসে ।কিন্তু ফারিয়ার শেষ ইচ্ছে অপূর্নেই থেকে গেল। এতো যুদ্ধ করে জন্ম দেওয়া মেয়েকে ও শেষ দেখতে পারলো না। শেষ মুহূর্তে যখন ওঈট তে ছোট মেয়েকে নিয়ে গেলো এক নজর দেখাতে তখন হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে যেতে বলল,AC তে ঠান্ডা লাগবে।এটাই হয়তো মা ৯ মাস পেটে রেখে এতো যুদ্ধ করে জন্ম দেওয়া সন্তানকে একটাবার দেখলোও না,বাচ্চার ঠান্ডা লাগবে বলে অথচ ও তখনি সে মৃত্যুর দুয়ারে। ২৪-০৭-২০২৫ ফারিয়া এক অর্থলোভী, অনভিজ্ঞ, ডাইনি নুসরাত জাহান বিন্তীর ভুল চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। একটা পরিবার তাদের মেয়েকে হারালো,একজন স্বামী নিজের প্রিয়তমাকে হারালো,২টা বাচ্চা নিজের মা কে হারালো।
আমরা যদি এইরকম ডাক্তার নুসরাত জাহান বিন্তী নামক কসাইদের বিরুদ্ধে শাস্তি না চাইতে পারি,প্রতিবাদ না করতে পারি কাল এমন হাজারো বিন্তী আপনার আমার মা-বোন-বউ-বাচ্চাকে অর্থের লোভে খুন করতে ভয় পাবে না।ফারিয়ার এই মৃত্যুটা কোনো দুর্ঘটনা নয়,এটা একটা খুন।নুসরাত জাহান বিন্তীর অর্থের লোভ আর লাইফ জেনারেল হাসপাতালের এমন অনভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার মতো ভুল সিদ্ধান্ত ফারিয়াকে খুন করেছে।
আপনার বোন-বউ-মা-মেয়ে সবাইকে এই নুসরাত জাহান বিন্তীর থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।আর আমরা সবাই এই ঘৃনিত কাজের জন্য নুসরাত জাহান বিন্তীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।