শিরোনাম |
মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক ![]() মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক এই চক্রের মূল হোতা মোঃ আবু বক্কর (হিরো), বয়স ৩৪। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পিয়াস (৩৫), ফজলুর কাদের (৫৮), এবং ভুয়া ভিসা তৈরির কারিগর তানভীর। তারা বিদেশে ভিসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে মোটা অঙ্কের টাকা নেয় এবং পরে তাদের হাতে তুলে দেয় ভুয়া ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট। ভুক্তভোগী বনানীর ব্যবসায়ী মোঃ জাহান জানান, বৈধ উপায়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসায় যুক্ত থাকায় সেই পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে হিরো তার বিশ্বাস অর্জন করে। পরে তার নাম ও পরিচিতিকে ব্যবহার করে বহু মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা চালায়। ![]() মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক এদের মধ্যে কেউ পৌঁছাতে পারেননি, অনেকের পাসপোর্ট আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইল করছে হিরু ও পিয়াস। এক ভিডিওতে পিয়াস নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তার অফিসে ৪০টির বেশি পাসপোর্ট রাখা আছে। ![]() মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মামুন সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করতে বনানী থানার অফিসার ইন চার্জ রাসেল আহমেদ (ওসির) সাথেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার কাছ থেকেও কোনো সহানুভূতিশীল বা সহায়ক মনোভাব পাওয়া যায়নি। বরং তিনি বলেন, “মামুন নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবে, সেটা সে ভালো জানে।” ওসির এই মন্তব্য প্রশাসনের ভেতরে দায়িত্বহীনতা ও প্রভাবশালী প্রতারকদের প্রতি একধরনের প্রশ্রয়ের ইঙ্গিত দেয়, যা জনমনে আরও গভীর প্রশ্ন তোলে। ![]() মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিরপুর থানার এসআই মেহেদী। তিনি সাংবাদিকদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে পিয়াসের সঙ্গে গোপনে কথা বলেন । এমনকি পিয়াসের দেওয়া একটি ভিজিটিং কার্ড নিজের পকেটে তুলে নেন—যা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে। পুলিশের আচরণে উঠছে বড় প্রশ্ন ? বনানী থানার এসআই মামুন এবং মিরপুর থানার এসআই মেহেদীর আচরণ এই মানব পাচার চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অংশের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে। কেন একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? কেন তদন্তের নামে চলছে নীরবতা? ![]() মানব পাচার চক্র: বনানী থেকে মিরপুর—প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক ভয়ংকর প্রতারণার নেটওয়ার্ক তদন্ত নামেই চলছে, কিন্তু সত্য কতদূর? এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তদন্তের নামে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। বরং, সাংবাদিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, এবং তথ্য গোপনের স্পষ্ট চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠছে—এই চক্রের পেছনে কি সত্যিই কেউ আছে, যারা তাদের রক্ষা করছে? (অনুসন্ধান অব্যাহত...)...................................... |