মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:০৪:৫২ এএম
শিরোনাম আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার       নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য খুব বেশী নয়: নজরুল ইসলাম       কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা       বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা       ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার       পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক       এমপি-মন্ত্রীসহ পলাতক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব      
ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Thursday, 27 March, 2025
ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে

ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে

ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। সংস্থাটির ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, প্রতিবেদনের বলা হয়, ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে। প্রতিবেদনে ভারত ছাড়াও ভিয়েতনামে ধর্মীয় বিষয়গুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের মানবাধিকার লংঘনের বিষয়গুলো উপেক্ষা করছে আমেরিকা। কারণ এশিয়া অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় ভারতকে কাজে লাগাতে চায় ওয়াশিংটন। এসব কারণে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং বা ‘র’-এর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসার আশঙ্কা কম বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কারণে ২০২৩ সাল থেকে আমেরিকা ও কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আমেরিকায় খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর কর্মকর্তা বিকাশ যাদব যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে আমেরিকা। এ নিয়ে নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে মামলাও চলছে। তবে ভারত এ অভিযোগ অস্বীকার করে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সব সময় তাদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর আগে কানাডায় খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সাথে র-এর কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ব্যাপারে গুরুতর অভিযোগ তোলেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে পৌঁছায়।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি অব্যাহত ছিল। একই সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও বৈষম্য বেড়েছে। কমিশন আরও বলেছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময়ে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছিল। এমনকি গত বছরের এপ্রিলে মুসলিমদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তারা ‘অনেক বেশি সন্তান জন্ম দেয়’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তবে ভারত এসব অভিযোগকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে মার্কিন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে আমেরিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা প্যানেল। একই সঙ্গে বিকাশ যাদব ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্যানেল।

এসব ব্যাপারে মন্তব্য জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মার্কিন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন মার্কিন সরকারের একটি দ্বিদলীয় উপদেষ্টা সংস্থা, যারা অন্য দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ এবং নীতিগত সুপারিশ করে থাকে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com