শিরোনাম |
হামজার অভিষেক ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() হামজার অভিষেক ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ পুরো ম্যাাচে ভালো খেলে জয়ের প্রত্যাশা জাগিয়েও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখেই লড়াই করেছেন হামজা চৌধুরী-তপু বর্মণরা। তবে এ লড়াইয়ে জিততে পারেনি কোনো দলই। জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়াটাও চাট্টিখানি কথা নয়। এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর। অভিষেক ম্যাচে নিজের জাতও চিনিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। দারুণ সব ট্যাকল করেছেন তিনি। মাঝে মধ্যে নিঁখুত থ্রু কিংবা সেট পিস থেকে শট নেওয়ারর প্রচেষ্টা তো ছিলই। এছাড়া সেরা একাদশে খেলেন তারিক কাজী, শেখ মোরসালিন, মজিবর রহমান জনি ও শাহরিয়ার ইমন। এদের মধ্যে জনি ও মোরসালিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ জমাট ছিল দেখার মতো। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ৯ মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে শাহরিয়ার ইমন মাথা ঘুরিয়ে হেড নিলেও তা ভারত পোস্টের দূর দিয়ে যায়। ১২ মিনিটে বাংলাদেশের সামনে আবারও সুযোগ আসে। গোলরক্ষক বিশাল কাইত ঠিকমতো গোলকিক নিতে পারেননি। সামনে থাকা শাকিলের পিঠে লেগে বল চলে যায় বক্সের ভেতরে হৃদয়ের পায়ে। এই মিডফিল্ডার লক্ষ্যে শট নিলেও শুভাশিষ বোস গোল হতে দেননি। ১৮ মিনিটে রাকিবের কাটব্যাকে কেউ শট নিতে পারেননি। এরপর মোরসালিনের ক্রসে শাহরিয়ার ইমন লাফিয়ে উঠে হেড করেন। তবে তা হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। যার কারণে ডেডলক খোলেনি। ম্যাচের ২১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা তপু বর্মণ। তার জায়গায় নামেন রহমত মিয়া। ২৮ মিনিটে প্রথমবার লক্ষ্যে বল রাখে ভারত। কিš ‘লিস্টন কোলাসোর সহজ-সরল শট মিতুলের তালুবন্দি করতে সমস্যা হয়নি। দুই মিনিট পর ভারত প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিল। কোলাসোর ক্রসে উদান্তা সিংয়ের হেড গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন শাকিল। ফিরতি বলে ফারুক চৌধুরীর দুর্বল শট মিতুল তালুবন্দি করেন। ৪১ মিনিটে বাংলাদেশ আবারও আক্রমণে। তবে এবারও সুযোগ নষ্ট করেন জনি। মাঝ মাঠ থেকে শাহরিয়ার ইমনের হেড পাস থেকে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন জনি। সামনে শুধু স্বাগতিকদের গোলরক্ষক। কিন্তু জনি আগুয়ান গোলরক্ষকের সামনে থেকে পোস্টে আর শট নিতে পারেননি। গোলরক্ষক কাইত ক্লিয়ার করলেন অনায়াসে। ফলে ভুরি ভুরি সুযোগ নষ্ট করে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পরও গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়ে তা নষ্ট করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ভারতও গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জমাট রক্ষণের কারণে তারা পায়নি গোলের দেখা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ভারতের গোলরক্ষকের পাসে বক্সের কাছে বল পেয়ে যান মজিবর রহমান জনি। কিন্তু এ যাত্রায়ও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ৭৫ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ৮০ মিনিটে সিনিয়র সোহেল নামেন বদলী হিসাবে। ৮৫ মিনিটে ভারতীয় কোচ মাঠ থেকে তুলে দেন সুনীল ছেত্রীকে। ম্যাচের শেষ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলে গোলশূণ্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। |