শিরোনাম |
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, নাসির উদ্দিনের ধৃষ্টতায় ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, নাসির উদ্দিনের ধৃষ্টতায় ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এক উচ্চমার্গে নিয়ে যান জিয়াউর রহমান। কূটনৈতিক সফলতার মাধ্যমে ভারতের খবরদারি থেকে রাষ্ট্রকে বের করে আনতে সফল হয়েছিলেন। বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। শেখ মুজিবের বিধ্বস্ত করা দেশকে পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তার অবদান অতুলনীয়। এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক কটুক্তি করে তোপের মুখে পড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী। এমনকি এনিয়ে নিজ দলেও ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সেই পোস্টেই এনসিপি দুই শীর্ষ নেতা সারজিস এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রকাশ্যে দ্বিমত জানিয়েছেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী লেখেন, গত ৫৩ বছরে জামায়াতে ইসলামীকে বারংবার রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। জেনারেল জিয়ার হাত ধরেই এ অবৈধ কাজ সম্পন্ন হয়। সেনা-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল লুটকারী জিয়া জনগণের অভিপ্রায় তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে এ অবৈধ শক্তিকে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়। সমালোচনার মুখে পরে অবশ্য পোস্টটি ডিলেট করেন তিন। শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে অপর এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন এই এনসিপি নেতা। বলেন, জিয়াউর রহমান বা তাহার ফ্যামিলির প্রতি আমার বা আমাদের কোনো জিঘাংসা নেই।মেজর জিয়াউর রহমান ভালো মানের সংগঠক এবং স্টেটসম্যান ছিলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো মানুষের ন্যূনতম সন্দেহের অবকাশ নেই। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়। অনেকেই বলছেন, রাজনীতি করতে হলে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে ন্যূনতম যে পাঠ প্রয়োজন তা না নিয়েই রাজনীতিতে নেমে পড়া দলের জন্য তো বটেই, তা দেশের জন্যও ভয়ঙ্কর। এই ঘটনায় নাসিরকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এ প্রসঙ্গে আলোচিত প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে করা একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি তাঁর কর্ম এবং সততার মাধ্যমে শত্রু - মিত্র দু'পক্ষের কাছেই অত্যন্ত সম্মানীত ছিলেন। রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক নেই এমন অনেকের কাছে তিনি এখনো সমাদৃত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারাই জিয়াউর রহমান'কে ভিলিফাই করার চেষ্টা করেছে, তাঁরা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে করা এই প্রতিবেদনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভ হতে সংগৃহীত। সাদিকুর রহমান খান লিখেছেন, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী জিয়াউর রহমানকে কটুক্তি করেছিলো। সেই পোস্টে সার্জিস আর হাসনাত প্রকাশ্যে দ্বিমত জানাইছে। এই কালচারটা যাতে চালু থাকে।জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রতীক। রাজনৈতিক সমালোচনা থাকবে, রেষারেষি থাকবে বাট নোংরামি অবশ্যই করা যাবে না। আমরা বাইরে থেকে যত যা ই বলি, পার্টির ভেতর থেকেই প্রকাশ্য সমালোচনা জরুরি ছিলো। এরপর কেউ এমন নোংরামি করার আগে দুইবার ভাববে। নিজের দলের খারাপ এবং অযৌক্তিক কথাবার্তার ওউন করার বদলে প্রতিবাদ করাই নতুন ধারার রাজনীতি। রাজনীতিটা শুরু হলো ভেবে ভালো লাগছে। জিয়াউর রহমান আমাদের কাছে বাংলাদেশপন্থার লিটমাস পেপার, জিয়াউর রহমান আমাদের ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধের প্রধান ভ্যানগার্ড। এইখানে কোন ধরণের আচড় আমরা মাইনা নিবো না। নেয়ামুল হাসান নিলয় লিখেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ভারতীয় চরদের চতুর্মুখী আক্রমণে বিধ্বস্ত একটি নগরীকে বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার গেঁথে যাওয়া খুটির উপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের বাংলাদেশ। যারা এইটুকু স্বীকার করতে সংকীর্ণতা প্রদর্শন করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমের জন্য হুমকি। মাওলানা নিজামুদ্দিন লিখেছেন, মেজর জিয়াউর রহমানের তুলনা হয়না। তিনি আমাদের গর্বের প্রতীক। আর নাসির উদ্দীন তুমি কোন ক্ষেতের মুলা জানতে চাই। তোমার তাকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস হয় কিভাবে? জিয়াউর রহমান অসময়ে দেশের হাল না ধরলে এদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতো। তোমার আজ আর রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখার কোনো সুযোগ ছিল না। তোমাকে প্রকাশ্যে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। জিয়াউর রহমানের নামে কটুক্তি করে যে পাপ করেছো তাতে তোমার দশবার তওবা করার দরকার। |