শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৩:২৭ পিএম
শিরোনাম ঈদকে সামনে রেখে ফেনীতে যানযট নিরসনে যৌথ বাহিনীর অভিযান       ঈদের দিন যেমন থাকতে পারে আবহাওয়া       চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে : চিফ প্রসিকিউটর       ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা আদালতের       ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে       দু’এক দিনেই বাসায় ফিরছেন তামিম, নেয়া হবে বিদেশেও       গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইল      
হয়রানি করতে’ খালেদা জিয়াকে নাইকো মামলায় জড়ানো হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Wednesday, 19 February, 2025
হয়রানি করতে’ খালেদা জিয়াকে নাইকো মামলায় জড়ানো হয়

হয়রানি করতে’ খালেদা জিয়াকে নাইকো মামলায় জড়ানো হয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করার জন্য’ নাইকো মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আদালত। বুধবার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সময় ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম তার পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।

রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। তার পক্ষে আইনজীবী রায়ের সময় আদালতে হাজিরা দেন। খালেদা জিয়া ২০০১-২০০৬ মেয়াদে যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

খালাস পাওয়া বাকি সাতজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

রায়ে আগে বিচারক বলেন, “প্রশ্ন হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআর এর ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা আছে। কোনো আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়। আবার রায়ও দেওয়া যায়। সেই অনুযায়ী রায় দেওয়া হচ্ছে।”

পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, “একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল। যেহেতু সেই মামলা চলে নাই, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেখানেও তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার কথা বলেছেন।”

বিচারক বলেন, “মামলা তেজগাঁও থানার। কিন্তু তাকে (সেলিম ভূঁইয়া) রাখা হয় গুলশান থানায়। সেখানে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ডিনাই করছে। তাদের এটা জানাও নাই। “রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, বর্হিবিভাগের টিকিটও আছে। তাকে বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেয়া হয়, এর রশিদও আছে।”

বিচারক বলেন, সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ফোর্সফুলি ১৬৪ নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই ১৬৪ কে ট্রু বলার সুযোগ নাই। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের জড়িত করার জন্য জোরপূর্বক এ ১৬৪ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করা হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের সবাই খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তাদের আইনজীবীরা। কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ওই ১১ জনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। এ মামলার বিচার চলাকালে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ে পর্যায়ে আসে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com