শিরোনাম |
ইসরাইলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বাসহ ২ ফিলিস্তিনি নারীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() ইসরাইলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বাসহ ২ ফিলিস্তিনি নারীর মৃত্যু নুর শামস নামের শরণার্থীশিবিরে ফিলিস্তিনি পরিবারের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। রোববার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অভিযানে সোন্দস জামাল মুহাম্মদ শালাবি নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্বামী। ২৩ বছর বয়সী শালাবি ও তার গর্ভের সন্তানকে বাঁচানো যায়নি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে আহত দম্পতিকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে ইসরাইলি বাহিনীর বাধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। পৃথক এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাহাফ ফৌয়াদ আবদুল্লাহ আল-আশকার নামের ২১ বছর বয়সী আরেক নারী ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিজ বাড়িতে নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানায়, রোববার দিনের শুরুতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম অঞ্চলে শরণার্থীশিবিরে ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজার নিয়ে অভিযান চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় নজরদারির বিমানগুলো খুব নিচ দিয়ে উড়ে যায় এবং হামলা চালায়। স্থানীয় সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকাটিতে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ আর বিস্ফোরণের জোরালো শব্দ শোনা গেছে। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের তুলকারেম ব্যাটেলিয়ন জানায়, নুর শামস এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, হতাহতের খবর জানার পরও ওই শরণার্থীশিবিরে সোসাইটির চিকিৎসা দলকে ঢুকতে বাধা দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি বাহিনী বলছে, তারা ওই শরণার্থীশিবিরে ‘ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে’ জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। ওই এলাকায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিন, তুলকারেম ও তুবাসের ফারা এলাকায় থাকা শরণার্থীশিবিরগুলোতে কয়েক সপ্তাহ ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় নুর শামস এলাকায় শরনার্থীশিবিরেও অভিযান চালানো হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের অভিযান আর হামলায় জেনিন ও তুলকারেম এলাকা থেকে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজায় গত মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে হামলার তীব্রতাও। সূত্র: রয়টার্স। |