বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:০২:৫৯ এএম
শিরোনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭টি কার্তুজসহ দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার        বাঁশজানি সীমান্ত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরাল বিএসএফ       দেশের সব আয়নাঘর খুঁজে বের করা হবে : প্রেস সচিব       জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২,৮০০ কোটি টাকা চেয়েছে ইসি       তিস্তা ইস্যুতে এবার মাঠে নামছে বিএনপি       এস আলম পরিবারের ৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ       বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত      
রাজনীতি করতে চায় তারা সরকার থেকে বেরিয়ে রাজনীতি দল গড়ে তুলুক: মেজর হাফিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Sunday, 26 January, 2025
রাজনীতি করতে চায় তারা সরকার থেকে বেরিয়ে রাজনীতি দল গড়ে তুলুক: মেজর হাফিজ

রাজনীতি করতে চায় তারা সরকার থেকে বেরিয়ে রাজনীতি দল গড়ে তুলুক: মেজর হাফিজ

আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, অতি দ্রুত নির্বাচন চাই জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার জন্য, তিন মাস সময় যথেষ্ট। সুতরাং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার আসার সুযোগ দিন। ৭১ সালে যুদ্ধ করেছি, নির্বাচিত সরকার ছিল না বলে আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আবার কেন নির্বাচিত সরকারের জন্য আমাদের তর্ক বিতর্ক করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা বললে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায় মনে হয় আমরা কোন অন্যায় দাবি করছি। আমরা কোন অন্যায় দাবি করছি না, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসান সেটাও বলছি না। বলব আপনারা কিংস পার্টি গঠন করবেন না। যারা রাজনীতি করতে চায় তারা সরকার থেকে বেরিয়ে রাজনীতি দল গড়ে তুলুক।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর হাফেজ বলেন, একটি পার্লামেন্ট সংস্কার করবে সেই পার্লামেন্টকে আসার ব্যবস্থা করে দিন, শুধু শুধু সময় ক্ষেপণ করবেন না। ছয় মাসেই বুঝা গেছে আপনাদের দৌড় কতটুকু তবুও আপনাদেরকে সম্মান করি। আমরা সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্য চাই। ছাত্র-জনতার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আশা করি এই ঐক্যের পথে আপনারা কেউ দেয়াল তৈরি করবেন না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। সারা পৃথিবী জানে বাঙালি লড়াইয়ের জাতী তারা প্রতিরোধ করতে জানে। মুক্তিযুদ্ধ যদি না হতো তাহলে দেখা যেত এক মাস পরে ভারতে যারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা দেশে ফিরত এবং শেখ মুজিবরকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হতো। আমরা দেশ বাঁচাতে এবং মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে কেন পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে এরকম দুর্নীতি করেছে কোন দল এটার প্রমাণ পাওয়া যাবে না। বিএনপি এবং ছাত্র জনতার ত্যাগের ফলে আমরা আবার নতুন করে গণতন্ত্রপূর্ণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। সুতরাং আমাদের উচিত এই সময়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকা।

ভারতের উদ্দেশ্য করে মেজর হাফিজ বলেন, তাদের পছন্দের নেত্রী বিদায় হওয়াতে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এখন বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করে আম গাছ কেটে নিয়া যায়, বাংলাদেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা নিরবে অবলোকন করছি ভুলে যাবেন না ৭১ সালে যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি।

তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনুস অত্যন্ত সম্মানের ব্যক্তি, তাকে আমরা সম্মান জানাই। তার কোন সফলতা দেখতে পাচ্ছি না তবুও তাকে আমরা সম্মান জানাবো। কিন্তু নাবালকের কথায় আপনি চলবেন না।

মেজর হাফিজ বলেন, জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ সম্মান করে তার দেশ প্রেম এবং সততার জন্য।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে নতুন একটি কথা শোনা যাচ্ছে প্রোক্লেমেশন, মনে হচ্ছে দেশটা এই প্রথম স্বাধীন হলো। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন তারা ৭১ সালের সেই দিনের কথা মনে করুন। যারা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন। জীবনটা একেবারেই তুচ্ছ। এটা প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধার মনের কথা। আমরা যুদ্ধ করেছি কেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। মানবিক, মানবতা, সাম্য এ লক্ষ্য ধারণ করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। তার মধ্যে আসছে প্রোক্লেমেশন জনগণ একটা বুঝেই না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাৎ সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদের আহমেদ খানের সঞ্চালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com