শিরোনাম |
খাস্তগীরকে পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সমাবেশ করায় মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলাকারী দূতাবাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খাস্তগীরের নিয়োগ বাতিলের তথ্য জানানো হয়। খাস্তগীর মালয়েশিয়ায় ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে প্রতিবাদকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তিনি ওই সময় অন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন এবং পরে তার তত্ত্বাবধানে কুয়ালালামপুরের কাজাং থানায় মামলা করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র তৌফিক হাসান জানান, বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে উপ-হাইকমিশনার হিসেবে কর্মরত খোরশেদ আলম খাস্তগীরের পোল্যান্ডে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হলো। জানা গেছে, পররাষ্ট্র ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ফাঁস হওয়া চ্যাটে দেখা যায়, খোরশেদ আলম খাস্তগীর মালয়েশিয়া প্রবাসী যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের পাসপোর্ট বাতিলেরও সুপারিশ করেছিলেন। এর জেরে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী সেই খাস্তগীরকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের পর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। তারা খাস্তগীরের নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলেন। খাস্তগীর বিসিএস (ফরেন অ্যাফেয়ার্স) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের একজন কূটনীতিক। তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে প্রথম সচিব এবং ওমানের মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার সেগুফতা দিলশাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। |