| শিরোনাম |
|
রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এমন ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দ্বীপে পর্যটক যাওয়া সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করণের পাশাপাশি দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। এ ছাড়া কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এদিকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার কথা প্রচার পাওয়ার পর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, কক্সবাজারে যেসব পর্যটক বেড়াতে আসেন তার বিশাল একটি অংশ সেন্টমার্টিন যেতে আগ্রহী থাকেন। যদি পর্যটক সীমিত করা হয় তাহলে পর্যটন ব্যবসায় মারাত্মক ক্ষতি হবে। কক্সবাজার বিমুখ হবে পর্যটকরা। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন কক্সবাজার ট্যুয়াক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে বারবার এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা বলেছিলাম ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বসে আলোচনা করে এটির একটি সুন্দর সমাধান করা যায়। কিন্তু আমরা এর কোনো কিছুই দেখি না। যা অত্যন্ত দু:খজনক। অথচ সেন্টমার্টিনের সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গত এক দশক ধরে তৎকালীন সরকার একাধিকবার ঘোষণা করেছিল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া সীমিত করার। কিন্তু নানা কারণে এটা তখন আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। |