রোববার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১২:১২ পিএম
শিরোনাম মিথ্যার বেড়াজাল নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে ভারত: রিজভী       বিচারিক কার্যক্রম আরও সহজলভ্য করা হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি       আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে : শফিকুল আলম       আপিলে হার, যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধের পথে টিকটক       ব্যবসা-বাণিজ্যে অসহযোগিতা করলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে : নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা       আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দেখা যাবে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ       আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না অন্তর্র্বতী সরকার : জিএম কাদের      
আজও চলবে ‘বাংলা ব্লকেড’, তীব্র যানজটের শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Published : Monday, 8 July, 2024
আজও চলবে ‘বাংলা ব্লকেড’, তীব্র যানজটের শঙ্কা

আজও চলবে ‘বাংলা ব্লকেড’, তীব্র যানজটের শঙ্কা

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আজও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে রোববারের মতো তীব্র যানজট সৃষ্টি হতে পারে।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মূল ব্লকেড আন্দোলন শুরু করা হবে।

এ ছাড়া একই সময়ে সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করবে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা করা হয়।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। চার দফা নয়, এক দফা দাবিতে সোমবার সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে।

এক দফা দাবি হলো সব গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

এর আগে, বাংলা ব্লকেডের কারণে রোববার অচল হয়ে পড়ে ঢাকার বড় অংশ। যানজটের চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামছেন।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com