শিরোনাম |
জেনে নিন, যে পরিমাণ টাকা থাকলে এ বছর কুরবানি ওয়াজিব হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() জেনে নিন, যে পরিমাণ টাকা থাকলে এ বছর কুরবানি ওয়াজিব হবে কিন্তু প্রশ্ন হলো কুরবানির নেসাবের পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করবেন? স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে। সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব। কত টাকা থাকলে এ বছর কুরবানি ওয়াজিব হবে- তা জানতে হলে আগে রুপার মূল্য জেনে নিন শনিবার (১ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫২ তোলা ২২ ক্যারেট রুপার দাম হলো ১ লাখ ১০ হাজার ১৮৭ টাকা। সাড়ে ৫২ তোলা ২১ ক্যারেট রুপার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ২৯০ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট রুপা সাড়ে বায়ান্ন তোলার দাম পড়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপা সাড়ে ৫২ ভরির দাম ৬৭ হাজার ৩৩৭ টাকা। অতএব, কুরবানির দিনগুলোতে কারো কাছে ন্যূনতম হিসাবে যদি সাড়ে ৬৭ হাজার টাকা বা এর সমমূল্যের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে, তাকে কোরবানি দিতে হবে। তবে কুরবানি যেহেতু ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সময়ের মধ্যে ওয়াজিব হয়, সে সময়ের দাম হিসাব করতে হবে। কারণ ততদিনে রুপার দাম কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কুরবানি ওয়াজিব হয় ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার যে দাম থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৬,আলমুহীতুল বুরহানি: ৮/৪৫৫) কুরবানির দিনের আমলগুলোর মধ্য থেকে পশু কুরবানি করার চেয়ে অন্য কোনও আমল মহান আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কুরবানিকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কুরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই মহান আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কুরবানি করো। (তিরমিজি: ১৪৯৩) আসন্ন এই ঈদুল আযহা ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠুক। আর আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে সঠিক নিয়মে কুরবানি করার তাওফিক দান করুন এবং সকলের কুরবানি ও অন্যান্য আমল কবুল করুন, আমিন। |