শিরোনাম |
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতা বন্ধের দাবি শিল্পী সমাজের
বিনোদন ডেস্ক:
|
চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে দেশের শিল্পী সমাজ। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। কর্মসূচিতে শিল্পী সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলনের অনেক উপায় রয়েছে। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীসহ জনজীবনে ভোগান্তি তৈরি করে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। তাঁরা আরও বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে কীভাবে তারা জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে, তা বোধগম্য হয় না। সাধারণ মানুষই গণপরিবহনে চড়ে, আর এসব রাজনীতিবিদরা জনগণের অধিকার আদায়ের নামে গণপরিবহনে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকেই পুড়িয়ে মারছে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য রাজনীতিতে বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। এই দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে তারা দেশকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে চায়। মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে অভিনেত্রী নীপা রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের কাজে শিল্পী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ স্বাধীনের পর স্বৈরাচারী সরকার পতন আন্দোলনেও শিল্পীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাঁর কাঁধে কাঁধ রেখে দেশ গড়ার অংশীদার হতে চাই। এ সময় অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, ‘এই দেশে শহীদদের পরিবার যে অনাহারে ছিল, তা খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। এই অভিনয়শিল্পীরা শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, সোচ্চার ছিল ন্যায়ের পক্ষে, সব অসংগতির বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শহীদদের পরিবার নিগৃহীত হয়েছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে দেশের সব কাঠামো ভেঙে পড়েছে। শেখ হাসিনা তাঁর কাজ-কর্ম দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে আমরা শেখ হাসিনাতেই ভরসা রাখি। অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার বলেন, ‘আজ নায়িকা থেকে উদ্যোক্তা হয়েছি শেখ হাসিনার কারণে। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় আমরা উদ্যোক্তা হতে পেরেছি। করোনাকালেও ব্যবসার এত ক্ষতি হয়নি, যতটা হরতাল-অবরোধে হয়েছে। চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘হরতাল অবরোধের কারণে আমার সন্তানসহ দেশের সব শিশু শুক্র ও শনিবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। আমার সন্তানরা জিজ্ঞেস করে কেন বন্ধের দিনে পরীক্ষা দেব? আমি তার কোনো উত্তর দিতে পারিনি। বাচ্চারা কী শিখবে? আগুন সন্ত্রাস-ভাঙচুর! কর্মসূচিতে চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের থাকার কথা ছিল নাটক-সিনেমার পর্দায়। আজ আমরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা শিশু থাকতে দেখেছি গ্রেনেড হামলা, পুড়িয়ে মারা, জ্বালাও-পোড়াও। স্বাধীনতার এত বছর পর আবারো আমরা সেই হামলা দেখছি। তারা রাজনীতির নামে যা করছে, আমার কাছে মনে হয়, তা দেশদ্রোহিতার সামিল। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, ‘এ দেশে আবারো অস্থিতিশীলতা আমরা চাই না। দেশ এগিয়ে যাবে, এটি শিল্পী সমাজের প্রত্যাশা। দেশের উন্নয়নে আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। অভিনেত্রী শম্পা রেজা বলেন, ‘বহু কষ্টে অর্জিত এই দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে কিছু মানুষ আমাদের সবকিছু ভেঙে দিতে চাচ্ছে। পাকিস্তানি সেনারা যেখানে আমাদের সঙ্গে পারেনি, সেখানে কিছু পয়সা খাওয়া সন্ত্রাসী কিছুই করতে পারবে না। এরা দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, আবার দেশ ধ্বংসের পায়তারা করছে। আমরা রাস্তাঘাটে আরামে বাসে-রিকশায় চড়ব, হাট বাজারে যাব, ইচ্ছে মতো চলাফেরা করব। ঠুনকো সন্ত্রাসীদের ভয় পেলে আমাদের চলবে না। অভিনেত্রী তারিন জাহান বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের জান মাল নিরাপদ থাকবে, দেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা সেই কাজটি করছেন। অপরদিকে আমরা দেখেছি, একটি দল মানুষ মারছে, পুলিশ-সাংবাদিক মারছে। শিল্পীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে। এই সন্ত্রাসী দলকে ভোট দেবেন, তাদের নেতা কে? কে সরকার গঠন করবেন?’ মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেতা তুষার খান, নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু, গুলজার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুম আমিন মজুমদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল প্রমুখ। |