শিরোনাম |
ভোলায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও ক্যুরিপদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত
ভালা প্রতিনিধি :
|
![]() ভোলায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও ক্যুরিপদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত এই পদক জুলিও ক্যুরি বিশ্বের অন্যান্য শান্তি পুরস্কারের মধ্যে অন্যতম একটি। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এই পদকে ভূষিত হন। বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে জুলিও কুরি পদক দিয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে উজার করে দেশের জন্য যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে তারই স্বীকৃতি অনুসারে ১৯৭৩ সালের ২৩ শে মে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও ক্যুরি শান্তি পদক পরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বশান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র।সেই পদক প্রাপ্তির আজ ৫০ বছর পূর্তি হলো। তাই ভোলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও ক্যুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার ২৮ শে মে সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতেও এই অনুষ্ঠানের করা হয়েছে।সাধারন শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট দিপক ত্রিপুরার সঞ্চালনায় ও জেলা প্রশাসক তৌফিক- ই- লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষা) রিপন কুমার সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইব্রাহিম খলিল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম। এসময় সভাপতির বক্তব্যে বলেন,১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন হলো।১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসেই বিশ্বশান্তি পরিষদ তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে ১৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে যারা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবসদানের জন্য সেদিন সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও ক্যুরি পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৭৩সালের ২৩ শে মে তিনি এই পদক পেয়েছিলেন।আমি বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি যে আমাদের দেশের আমার জাতির পিতা তিনি সম্মানজনক এই পদক পেয়েছেন।সেই বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমাদের এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছ।এবং তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে, উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ায় যে সকল সুবিধা গুলো এখন আমরা পাচ্ছি সে সম্পর্কে ধারনা দেন। এসময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাবৃন্দ সহ বিভিন্ন স্কুলের শীক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ভোলার স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক কর্মীদের অংশগ্রহণ শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি এই উপলক্ষে শিশু কিশোরদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিলো।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগীদের মাঝে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের হাতে উপস্থিত অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। |